×

রাজনীতি

ভোট চাইতে পারবেন না এমপিরা: তোফায়েল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:০৭ পিএম

ভোট চাইতে পারবেন না এমপিরা: তোফায়েল

বক্তব্য রাখছেন তোফায়েল। ছবি: ভোরের কাগজ।

আওয়ামী লীগের নেতা তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে না পারলেও ঘরোয়া মিটিং করতে পারবেন সংসদ সদস্যরা।

শনিবার (১১ জানুয়ারী) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর আওয়ামী লীগের নেতা সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সুবিধাপ্রাপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের প্রচারে বাধা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসার মধ্যে ইসিতে দ্বিতীয় বারের মত যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

উত্তর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক তোফায়েলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে। ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তর সিটির মিডিয়া সেলের সদস্য জয়দেব নন্দী। সিইসির সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী বিধিমালার অসঙ্গতি তারা তুলে ধরেছেন ইসির কাছে। আর এতে মাহবুব তালুকদার ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনাররা একমতও পোষণ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এমপিরা পথসভায় যাব না, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন করব না। কিন্তু আমাদের যে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমরা তো ঘরোয়াভাবে মিটিং করতে পারব। তারা অনুরোধ করেছেন, এমপিদের ভোট না চাইতে। ভোট চাওয়া ছাড়া আমরা সব করব, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।

নির্বাচনী আচরণবিধির ‘২২ এর-১’ উপধারাতে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যদেরও স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এনিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, এতে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্রচারে নামতে পারলেও আওয়ামী লীগ নেতারা পারছেন না। এতে বিএনপি বেশী সুবিধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি, জাতীয় সংসদ সদস্যরা কিন্তু সুবিধাভোগী না। সুবিধাভোগী হলো অফিস অফ প্রফিট যেটা আমরা এমপিরা পাই না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, হুইপ, স্পিকাররা পায়। তবে তারা (ইসি) স্বীকার করেছে যে আসলে সংজ্ঞা মধ্যে স্ববিরোধিতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তোফায়েল। তবে কমিশনার মাহবুব তালুকদার সেদিন যে কথা বলেছিলেন, আজকেও বলেছেন, আমি আমার অফিস বা ঘরে বসেও নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। উনি ছাড়া সবাই একমত হয়েছেন, এটা বাস্তবসম্মত নয়। তবে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণের অংশ হিসেবে ইসির বিধিমালা অনুসরণের প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল।

তিনি বলেন, এখন যদি কিছু করি সরকারের জন্য মানুষের চোখে ভালো হবে না, তাদের (ইসি) চোখেও এটি ভালো হবে না। আমরা ঘরোয়াভাবে অফিসে বসে বা মহল্লায় গিয়ে কোনো বাসায় বসে মিটিং করতে পারব, এগুলোতে কোনো বাধা নেই। তাদের অনুরোধ, আমরা যারা এমপি তারা যেন ভোট না চাই।

তিনি আরো বলেন, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে, এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। যেহেতু আমরা ক্ষমতাসীন দল আমরা এমন কোনো কাজ করব না, যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কারও নামে ওয়ারেন্ট থাকলে আইপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে, এতে কিছু করার নেই। সামাজিক মাধ্যমে মিডিয়ায় যে অপপ্রচার করে, এটা তারা বন্ধ করার উদ্যোগ নেবে। ইভিএম সম্পর্কে আমরা বলেছি, এটি সম্পূর্ণ আপনাদের (ইসি) এখতিয়ার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App