×

মুক্তচিন্তা

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে গালগল্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:৫৭ পিএম

আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অসাধারণ মানুষদের একটা স্বভাবজাত প্রবণতা হচ্ছে অন্যকে খাটো দেখিয়ে নিজকে বা তার পছন্দের মানুষটিকে বড় করে দেখানো। এই যাত্রায় ছোট বেলায় দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একজন আঙুলের ওপর ভর করে অন্যকে ছোট দেখানোর চোট্টামি স্মরণীয়।

মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছেন। এই বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের সভাপতি পদ্মভ‚ষণ ড. আনিসুজ্জামান বইটির কিছু কিছু কথা বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেন। আমার ধারণা, তিনি পুরো বইটি পড়ে এই মন্তব্য করেন। প্রকাশনা উৎসবে বঙ্গবন্ধুর সাবেক সহযোগী হাজি মুরশেদ মন্তব্য করেন যে, তাজউদ্দীন না হলে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হতেন না। এ কথাটি কি তথ্য ও ঐতিহাসিক বাস্তবতার ধোপে টিকে? বইটি প্রকাশের পর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় মিজানুর রহমান খান একটি নিবন্ধ লিখতে গিয়ে অনেকটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে শারমিনকে উদ্ধৃত করে যে তথ্য দেন তা হলো, ‘মুজিব কাকুর পাশেই আনন্দে উদ্বেলিত আব্বু দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ মুজিব কাকু আব্বুর কানের কাছে মুখ নামিয়ে বললেন, তাজউদ্দীন আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবো’ (প্রথম আলো, বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রীর বৈধতা, ২২ এপ্রিল ২০১৪)।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু নাকি সে কথা বলেছিলেন। ‘নাকি’ শব্দটি ব্যবহার করেছি এই কারণে যে, সে কথার শ্রোতা কিন্তু শারমিন আহমদ নন আলী তারেক। আলী তারেকের উক্তিটাকে শারমিন নিজের কথায় প্রকাশ করেছেন। ১৯৯১ সালের একটি লেখায় (আলোকের অনন্ত ধারা, পৃষ্ঠা ১৩০) আলী তারেক যে কথাগুলো বললেন, তা হলো- ‘১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করলেন, সে দিন লক্ষ লক্ষ জনতা সংবর্ধনা দিয়ে তাকে বরণ করে নিল। অশ্রুসিক্ত নয়নে বঙ্গবন্ধু অবতরণ করে যখন তাজউদ্দীন আহমদকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন তখন আমার মনে হলো বুঝি দুটি মন, দুটি আত্মা, দুটি দেহ এক হয়ে গেল। আমার বুঝতে ভুল হচ্ছিল। কোনটি শেখ মুজিব, কোনটি তাজউদ্দীন। অশ্রুসিক্ত নয়নে বঙ্গবন্ধু ট্রাকে উঠলেন। ঐ ট্রাকে আওয়ামী লীগের মূল নেতৃবৃন্দসহ ছাত্র নেতৃবৃন্দও ছিলেন। আমারও ওই ট্রাকে থাকার সুযোগ হয়েছিল। ট্রাক লক্ষ জনতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে। অশ্রুসিক্ত বঙ্গবন্ধু হঠাৎ তাজউদ্দীন ভাইয়ের কানে কানে বললেন, তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবো।’

হতে পারে আলী তারেক সে ট্রাকে কষ্টে-সৃষ্টে একটা স্থান করে নিয়েছিলেন কিন্তু কানে কানে বলা কথা শোনার দূরত্বে তিনি যে থাকতে পারেননি তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কেউ যদি সে দূরত্বে থাকা তারেকের ছবি আমাকে দেখাতে পারেন, তাহলেই আমি তার উক্তিকে বিশ্বাস করব। আসলে সে ট্রাকের ছবিটি দেখলেই বুঝা যাচ্ছে ট্রাকটি ছিল ঠাসা আর চতুর্দিক থেকে মুহুর্মুহু স্লোগান ও আনন্দ ধ্বনিতে কোনো কিছুই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল না। তার পর মহাশ্রুতিধর তারেকই এমন কথা শুনলেন আর কেউ তা শুনলেন না তা এক বিস্ময়কর ব্যাপার!

তারেক এক সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ছিলেন কিন্তু তাজউদ্দীন সাহেবের সংস্পর্শে এসে এবং তার অন্যতম সুবিধাভোগী হিসেবে তিনি তাজউদ্দীন আহমদের অন্ধ ভক্তে পরিণত হন। তাই বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রিত্ব ঠেকাতে তিনি তাজউদ্দীন ভাইয়ের কাছে ছুটে গিয়ে বললেন, ‘এই মুহূর্তে আপনাকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ সে পদক্ষেপটা কী ছিল? বিদ্রোহের উসকানি যা তাজউদ্দীন সাহেব প্রত্যাখ্যান করেন।

সৌভাগ্য বলি আর দুর্ভাগ্য বলি, আমি আলী তারেককে ঘনিষ্ঠভাবে চিনতাম। এমনকি তার পরিবারের অতি নিকটে অবস্থানের সুযোগও আমার হয়েছিল। তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে যতটা মুজিব ভক্ত ছিলেন, পরিণত বয়সে তিনি ততটা মুজিব বিদ্বেষী ছিলেন। তার ভাই খালেদ সাহেব বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর মাতম করলে ও প্রতিরোধে নামলেও তারেক ছিলেন প্রয়াত মুজিবের সমালোচনায় মুখর। তার আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষ হিসেবে তাজউদ্দীনকে দাঁড় করাতে এমনকি তাকে জাসদে যোগদান করাতে তারেকের প্রয়াস বরং তাজউদ্দীনের ব্যক্তিত্বের কারণে ব্যর্থ হয়। তাই বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে তার এমনি অবস্থান হয় তার মানসিক ভ্রান্তিবিলাস বা ঈর্ষাকারতার প্রকাশ বা মিথ্যাচারিতা। তার লেখায় মনে হয় বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য লোভাতুর এবং সে ব্যাপারে তর সই ছিল না বলেই অশ্রুসিক্ত নয়নেই তিনি তাজউদ্দীনের কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব দাবি করে বসেন। তার বিপরীত চিত্র আমরা অন্যত্র খুঁজে পাই।

বঙ্গবন্ধু যে এমনটি ছিলেন তা গাফ্ফার চৌধুরীর মুখে শুনুন (বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মারক গ্রন্থ ২০০৯)। বেগম মুজিব সম্পর্কে লিখতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তার স্বামী (মানে বঙ্গবন্ধু) হতে পারতেন মোনায়েমকে সরিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। ১৯৭০ সালে নির্বাচনের পর তিনি হতে পারতেন একজন সামরিক প্রেসিডেন্টের অধীনে অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। আমরা এ-ও জানি মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তিনি ছিলেন ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর উভয়ের ফাঁসি কাষ্ঠের অভিযাত্রী কিংবা ইসলামাবাদের মসনদের অভিযাত্রী। তিনি যদি শুধু বলতেন আমি স্বাধীনতার ঘোষণা দেইনি কিংবা যুদ্ধের পরেও বলতেন যে, আমি পাকিস্তান কনফেডারেশনের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, তাহলে সে পথ তার খোলা ছিল এবং তাকে রোখার শক্তি কারো ছিল না। তাই যে ব্যক্তি মৃত্যু পরোয়ানা ও প্রলোভনের মাঝে নিজকে সামলিয়ে রাখতে পারলেন, তিনি কয়েকদিনের ব্যবধানে তাজউদ্দীন থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে নির্লজ্জভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন, তা কি বিশ্বাসযোগ্য? তাহলে তারেকের উদ্ধৃতিগুলো নিজের গ্রন্থে শারমিনের সন্নিবেশ এবং সেখান থেকে মিজানুর রহমান খানের উদ্ধৃতি কতটা সঙ্গত হয়েছে তা বিবেচ্য। তারেক যে ভ্রান্তি বিলাস বা মিথ্যাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন তা প্রকাশিত হচ্ছে অপর ‘এক তাজউদ্দীন ভক্ত ও তাজউদ্দীন পরিবারের সুহৃদের’ লেখায়। সে ভক্ত ও সুহৃদের নাম বদরুদ্দিন আহমদ, যিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক তাজউদ্দীন’ নামে একটি বই লিখেছেন।

বইটির তথ্যের উৎস হিসেবে তিনি তাজউদ্দীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছাড়াও অন্য উৎসের উল্লেখ করেছেন। গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন- ‘তাজউদ্দীন আহমদের মন্ত্রিত্ব চলে যাবার পর আমি শনিবার বিকেলে কিংবা রবিবার সকালের দিকে তাজউদ্দীন ভাইয়ের বাসায় যেতাম। তার কাছ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসের গোটা ইতিহাস শুনেছি। শুনেছি স্বাধীনতা-উত্তর এবং পূর্বকালের কথা। সে সব ঘটনাকে উপজীব্য করেই আমি এই পুস্তক রচনা করেছি।’ এই পুস্তকের বেশ কটি জায়গায় তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে লিখেছেন (পৃষ্ঠা ৮৭)। যাতে তিনি শেখ ফজলুল হক মণি ও বঙ্গবন্ধুর কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে ধরছেন এভাবে-‘মনি এবার বললেন, আগামীকাল আপনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। মুজিব বললেন, কেন আমিত প্রেসিডেন্ট আছি। প্রধানমন্ত্রী হতে বলছিস কেন? মণি বললেন, কেন আপনি জানেন না যে সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নেই।’ বদরুদ্দিনের মতে, এই কথোপকথন হচ্ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভা সমাপ্ত করে দীর্ঘ ৯ মাস ৯ দিন পর পরিবারবর্গের কাছে ফিরে এসে। তারপর দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকে একজন ভাবলেশহীন ও লোভাতুর মানুষ হিসেবে বর্ণনা দিলেন। তিনি নাকি তাজউদ্দীনকে বলছেন, ‘তুই আজই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জবংরমহ দিবি। আমি প্রধানমন্ত্রী হব।’ এই কথোপকথনের জের ধরেও আলী তারেকের বক্তব্যটিকে ভ্রান্তিবিলাস বা মিথ্যাচার ছাড়া আর কি বলা যায়? তার সহযাত্রী হয়েছেন নূরুল কাদের খান, যার উক্তি, ‘ঐব বীঢ়ৎবংংবফ যরং ফবংরৎব ভড়ৎ চৎরসব গরহরংঃবৎংযরঢ়’ তাকে মিথ্যুক কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের দলে ফেলে দিচ্ছে। বার তাহলে মইদুল হাসানের ‘মূলধারা ৭১’ থেকে উদ্ধৃতি দিতে হচ্ছে।

‘এরপর মূল রাজনৈতিক প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব পুনর্নির্ধারণের। ১১ই জানুয়ারি সকালে শেখ মুজিব ও তাজউদ্দীন প্রথম এ বিষয়ে একান্ত আলাপে প্রবৃত্ত হন। এতদিন শেখ মুজিব ছিলেন রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্টারি ব্যবস্থায় সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কোনো কার্যকরী ক্ষমতা নেই। সরকার পরিচালনার সর্বপ্রধান ভ‚মিকা শেখ মুজিব পালন করেন, তা-ই ছিল অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীদের ঐকান্তিক কামনা। তাদের এই ইচ্ছার কথা উভয় নেতাই অবগত ছিলেন। কাজেই সরকার পরিচালনার মূল দায়িত্ব শেখ মুজিবের কাছে হস্তান্তরিত করার বিষয়টি স্বল্প আলোচনার মাধ্যমেই স্থির হয়। অবশ্য আলোচনার শুরুতে শেখ মুজিব প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থা প্রবর্তনের পক্ষে নিজের মত প্রকাশ করেন। তাজউদ্দীন তখন জানান, পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের বাইশ বৎসরের দাবি সহসা বাতিল করে প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থা প্রবর্তনের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়; কাজেই এদেশে পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থাই গড়ে তুলতে হবে এবং সে গড়ে তোলার দায়িত্ব শেখ মুজিবকেই পালন করতে হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে; ১৯৭০ সালে দেশবাসী বিপুল ভোটে সে রায়ই জ্ঞাপন করেছিল; মাঝখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র মানুষের উপর আক্রমণ শুরু করার পর দেশের সেই দুর্যোগকালে রাজনৈতিক কর্তব্যবোধ থেকে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন মাত্র।’

আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অসাধারণ মানুষদের একটা স্বভাবজাত প্রবণতা হচ্ছে অন্যকে খাটো দেখিয়ে নিজকে বা তার পছন্দের মানুষটিকে বড় করে দেখানো। এই যাত্রায় ছোট বেলায় দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একজন আঙুলের ওপর ভর করে অন্যকে ছোট দেখানোর চোট্টামি স্মরণীয়। এরা যখন বড় হয়, যখন এই চোট্টামি ধরা পড়ে যায় বিধায় ধীরে ধীরে তারা অদৃশ্য হাতে অদৃশ্য কারসাজি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পা থেকে কিয়দাংশ কেটে দিয়ে নিজকে বা নিজের পছন্দের লোকটিকে বড় করে দেখায়।

বঙ্গবন্ধুকে ছোট করে দেখানোর বহু প্রয়াসের মধ্যে একটি হচ্ছে এ জাতীয় গাল-গল্পের অবতারণা বা শাখা-প্রশাখা বিস্তার করা। জবাবে এটুকু বলা যায়, দেশ শত্রুমুক্ত হলে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হতে চাননি কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। সে বাস্তবতা সবার জানা থাকারই কথা। তবে নতুন প্রজন্ম হয়তো জানে না যে মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কারো কাছে অস্ত্র সমর্পণে নারাজ ছিল। সারা বিশ্ব শেখ মুজিব ছাড়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি কিংবা সাহায্য দিতেও পিছপাও ছিল।

ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী : উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App