১১৯ বছরে নতুন দাঁত কেশবন নায়ারের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ১০:০৫ এএম
এ বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ গত ১ তারিখ কেরলের কোল্লাম জেলার পাট্টাঝি গ্রামের বাসিন্দা কেশবন নায়ারের বয়স হয়েছে ১১৯ বছর। আর সবাইকে অবাক করে তার ফোকলা মাড়িতে দেখা দিয়েছে নতুন দাঁত। যা অন্যান্য জীবিত শতায়ু মানুষদের থেকে আলাদা করেছে কেশবনকে।
যদিও স্কুলের বা জন্মের প্রশংসাপত্র নেই তার, কিন্তু আধারের পরিচয়পত্র অনুযায়ী, ১৯০১ সালের পয়লা জানুয়ারি জন্ম কেশবনের। সম্পূর্ণ ঔপনিবেশিক শাসনকাল, স্বাধীনতা সংগ্রাম, রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তি থেকে অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জির নোবেল প্রাপ্তি সবকিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। নিজের বয়স নিয়ে তার মনে কোনো দ্ব›দ্ব নেই বলে জানালেন কেশবন। নিজেই জানালেন, বছর ছয়েক আগে তার ফোকলা মাড়িতে ওই দাঁতটি ওঠে। ১০০ বছর পর কোনো মানুষের দাঁত ওঠা কিছুটা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বয়সের ভারে দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তি আংশিক কমে গেলেও স্মৃতিশক্তি এখনো টনটনে শতায়ু পার করা বৃদ্ধের। নীলাথে জুথু বা বালির ওপর মালয়ালি লেখার দক্ষ শিল্পী ছিলেন কেশবন। তার হাত দিয়ে পাস করা বহু বালিশিল্পী এখনো বিদ্যারম্ভম বা যে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে উপহার নিয়ে গুরুকে প্রণাম করতে আসেন।
৮০ বছরে মৃত্যু হয় তার স্ত্রী পারুকুট্টি আম্মার। ৫ সন্তানের মধ্যে ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয় বড় ছেলের। বর্তমানে নিজের ৮০ বছরের মেয়ে শান্তার কাছেই থাকেন কেশবন। শান্তা জানালেন, এখনো ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজেই ভক্তিগীতি গান কেশবন। তারপর শিশুদের পড়াতে বসেন।