বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে চাকুরী বিধি মোতাবেক মর্যাদার পার্থক্য যত দূর সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। সেই সঙ্গে সবাইকে সংবিধান সম্মত উপায়ে আইনানুগভাবে সম্মানের সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের চাকুরী করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী। রায়ে ১১ দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বাংলাদেশ রাইফেলসের নিরাপত্তা বিষয়ক ইউনিট বিজিবির মেধাবী, সৎ ও চৌকস সদস্যের সমন্বয়ে নুতন ভাবে ঢেলে সাজানো এবং ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে দায়িত্বে অবহেলার জন্যে ঘটনাকালীন সময়ে দায়িত্বে থাকা আরএসইউ এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পূর্বাভাস সংগ্রহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার জন্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাসহ দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিডিআরে তীব্র অসন্তোষ এবং প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাসহ কমান্ডিং অফিসারদের নজরে আসা সত্ত্বেও তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ গ্রহণ না করে উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। ভবিষ্যতের জন্যে সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

এতে আরো বলা হয়, বিজিবির সদস্যদের পদোন্নতি, বেতন, ভাতা, রেশন, ছুটি, আবাসিক সমস্যা, চিকিৎসা ও সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উদ্ভুত সমস্যা দ্রুত সমাধানে মন্ত্রনালয়সহ সরকারের সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সেনা কর্মকর্তাসহ নিহতদের সন্তান বা পরিবারের উপযুক্ত সদস্যদের আর্থিক, সামাজিক ও পারিবারিক নিরাপত্তা বিধানে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।