×

সাহিত্য

বম আর চাকমা নৃত্যে মুগ্ধতা ছড়ালেন শিল্পীরা

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৯ পিএম

বম আর চাকমা নৃত্যে মুগ্ধতা ছড়ালেন শিল্পীরা

শিল্পীদের বম পুষ্প নৃত্য পরিবেশন

বম আর চাকমা নৃত্যে মুগ্ধতা ছড়ালেন শিল্পীরা
ঐতিহ্যবাহী চাকমা দলীয় নৃত্য এবং বম পুষ্প নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার নন্দন মঞ্চে সাংস্কৃতিক উৎসবের ষষ্ঠ সন্ধ্যায় মুগ্ধতা ছড়ালেন বান্দরবন জেলার শিল্পীরা। শুরুতে বান্দরবান জেলার পরিবেশনায় ‘জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও প্রদর্শনী’ ‘আকাশ ছোঁয়া চিম্বুকে আয় হাত ছানি দেয় বনে’ গানের কথায় সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী বীনাপানি চক্রবর্তী, লিজা সংমা, সুমাইয়া আক্তার, রুম্বাতি ত্রিপুরা, দেবী দিপ্ত রূপা, ঐশি, দিলীপ নাথ, মো: হারুন, মান্নান আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম। একক নৃত্য পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের নৃত্যশিল্পী একিনু মারমা; একক সঙ্গীত লালন গীতি পরিবেশন করে শিল্পী দেবী দিপ্ত রূপা ঐশি; জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী একিনু মারমা; উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সুমাইয়া আক্তার উমে এবং তবলায় সহযোগিতা করেন শিল্পী শংকর দাস। নরসিংদী জেলার পরিবেশনায় তথ্যচিত্র প্রদর্শনী জেলা ব্রান্ডিং করে ‘মুক্তির মন্দির সোপান তালে এবং নরসিংদী মোর জন্মভূমি’ গানের কথায় দুটি সমবেত সঙ্গীত ‘দে তালি বাঙ্গালী এবং জাগো বাংলাদেশ’ গানের কথায় দুটি সমবেত সঙ্গীত; একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মেহরীন; উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রাবেয়া আক্তার সেতু এবং ত্রিতালে তবলায় লহরা পরিবেশন করে যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীবৃন্দ। [caption id="attachment_193977" align="aligncenter" width="700"] ঐতিহ্যবাহী চাকমা দলীয় নৃত্য[/caption] ঢাকার শিল্পীদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একক সঙ্গীত পরিবেশন করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পী শুসমী এবং শিশু শিল্পী সাদিয়া সেমন্তী শ্রেয়সী। এম আর ওয়াসেক এর নৃত্য পরিচালনায় ‘বারো মাসে তের পার্বন এবং চলো এগিয়ে যাবো’ গানের কথায় দুটি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নন্দন কেলাকেন্দ্র, সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ এবং একক আবৃত্তি করেন শিল্পী আহকামউল্লাহ। পটুয়াখালী জেলার পরিবেশনার শুরুতেও জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বুকের ভিতর আকাশ নিয়ে এবং বাজেরে বাজে বাংলাদেশের ঢোল’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মো: বায়েজীদ, শোভন, পারভেজ, সাইদুল, মুচকান, শান্তা, স্বর্ণালী, মিতু ও মৌ, ‘চলো স্বাধীন পথে এবং শোন একটি মুজিবরের থেকে’ গানের কথায় দুটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী বাদল, সিফাত, জুয়েল, নিলয়, হৃদয়, মালা, পুতুল, অনামিকা, দীপান্বিতা ও মনিকা, একক সঙ্গীত ‘দূর আযানের মধুরও ধ্বনি বাজে’ পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মালা কর্মকার এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী পুতুল মিত্র পরিবেশন করে ‘ওগো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ’, যন্ত্রে ‘কলো কেলা ছলো ছলো নদী করে টলো মলো’ সুর তোলেন যন্ত্রশিল্পী আরিফ, শেখর, পুতুল ও রঞ্জিত। রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে বিজয়গুপ্ত’র রচনায়, ইন্দ্রজিত কীর্তনীয়া’র পরিচালনায় এবং মা মনসা সম্প্রদায় বরিশালের পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য রয়ানী পালা ‘বেহুলা লখিন্দর’ মঞ্চস্থ হয়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন সরকার-ইন্দ্রজদি কীর্তনীয়া, সহশিল্পী প্রবীর বিশ্বাস ননী, শ্যামলী, উষা রানী ও রঞ্জতা রানী কীর্তনীয়া। যন্ত্রে সহযোগিতা করেছেন পতিত মিস্ত্রী, অরুন মালি, সুমন্ত চন্দ্র বড়াল, শঙ্কর ব্যাপারী, সঞ্জয় হাওলাদার, রমনি সহজাল এবং কমল মন্ডল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App