ইরানের মিসাইল হামলার পর বিশ্ব প্রতিক্রিয়া
nakib
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:১৩ পিএম
ইরান মার্কিন সেনাদের ঘাটি লক্ষ্য করে ইরাকে ২২টি ব্যালেস্টিক মিসাইল হামলা চালায়। দেশটির জাতিয় বীর খ্যাত কাসেন সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় ইরান। এর আগে এক ড্রোন হামলায় ইরানের কুর্দ ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল সোলায়মানিকে হত্যা করে করে আমেরিকা। এ হামলার পর এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোন মন্তব্য করেননি।
ইরানেরপক্ষ থেকে পাল্টা মার্কিন হামলার জবাব দেয়া হবে বরেও হুশিয়ারি দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করে । অন্যদিকে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্বশেয়অর বাজারে দেখা দিয়েছে দর পতন।
এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা শংকা প্রকাশ করছেন বিশ্বনেতারা।
তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যেব এরদোগান প্রতিবেশী ইরান ও ন্যাটোমিত্র আমেরিকাকে উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করার জন্য আহ্বান করেন। পাশাপাশি নতুন কোন সংঘাত এড়ানোর জন্য দেশটি সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ ইরানের মিসাইল হামলাকে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করে জরুরী ভিত্তিতে সংযত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে। এ হামলাকে আবারো ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে বিশ্বসংস্থাটি।
ন্যাটো প্রধান চীফ জেন্স স্টলটেনবার্গ এ টুইট বার্তায় ইরানের হামলার নিন্দা করে আর কোন সহিংসতা না ছড়াতে আহ্বান জানায়। হামলায় ন্যটোর কোন কর্মকর্তা হতাহত হয়নি বলেও জানায় ন্যাটো।
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে মার্কিন বিমানঘাটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা জানানো হয়। আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিও গুরুত্বারোপ করে দেশটি।
নরওয়ের পক্ষ থেকেও উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করার আহ্বান জানিযে যে কোন ধরণের যুদ্ধের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানিযে দেয়া হয়। স্পেন নিরাপত্তা সংকট দেখা দেখায় তাদের কিছু সৈন্যকে ইরাক থেকে কুযেতে সরিয়ে নেয়।
ইউরোপিয় ইয়নিয়নের পক্ষ থেকেও অস্ত্র ব্যহার বন্ধ করে দ্রুত আলোচনায় বসার জন্য দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ইরানের এ হামলার সমালেচনা করে জার্মানি আর নতুন করে যে কোন হামলা না চালাতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে মাধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ফিরিয়ে আনতে আহ্বান জানানো হয়। পোল্যান্ড ইরাকে তাদের সৈন্য নিরাপদ আছে বলে জানায়।
ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও এ হামলার নিন্দা জানানো হয় এবং এ ধরনের হামলা আর না চালানোর আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া জাপান, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের পক্ষ থেকেও সব পক্ষকে শান্ত থেকে যে কোন হামলা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়। অস্ট্রেলিয়া ইরাকে তাদের ৩০০ সেনা নিরাপদ আছে বলে জানায়। নিরাপত্তার জন্য কানাড তাদের সৈন্যদের কুয়েতে সরিয়ে নিবে বলে জানায়।