×

পুরনো খবর

পিবিজিএসবি ইয়াং সাইনটিস এ্যাওয়ার্ড পেল ড. আফছানা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:২৮ পিএম

পিবিজিএসবি ইয়াং সাইনটিস এ্যাওয়ার্ড পেল ড. আফছানা

এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছেন ড. আফছানা। ছবি: প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাকিল হোসেনের সহধর্মিনী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারী) বিজ্ঞানী ড. আফছানা আনছারী পেলেন প্ল্যান্ট ব্রিডিং এন্ড জেনেটিকস্ সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিবিজিএসবি) ইয়াং সাইনটিস এ্যাওয়ার্ড। অতি সম্প্রতি পিবিজিএসবি’র ঢাকাস্থ এসিআই সেন্টারে হয়ে গেল দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে সবচেয়ে আলোচিত নামটি ছিল বিজ্ঞানী ড. আফছানা আনছারী। কারণ তিনি ২০১৮ সালের পিবিজিএসবি ইয়াং সাইনটিস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। যা ২০১৯ সালের শেষে প্রদান করা হয়। এ এ্যাওয়ার্ড বিগত ৩৪ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোন হাইব্রিড রাইস ব্রিডারকে এ গৌরবময় পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এসিআই সেন্টারে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিজয়ীর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত এমিরেটাস বিজ্ঞানী এবং চীফ প্যাট্রন কৃষিবিদ ড. কাজী বদরুদ্দোজা। ড. আনছারী ২০১১ সালে থার্ড ওয়াল্ড অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সাইনটিস (বর্তমানে ওডব্লিউএসডি) ওয়েব সাইডে প্রকাশিত উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির আবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সকল প্রার্থীদের পিছনে ফেলে তিনি এ পিএইচডি স্কলারশীপ অর্জন করেন।

ড. আফছানা আনছারী ২০১৬ সালে চীনের চাইনিজ একাডেমি অফ এগ্রিকালচার সাইন্স (সিএএসি) থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার গবেষণার কাজ ছিল পুরোই ভিন্ন ধর্মী এবং প্ল্যান্ট ব্রিডিং এর জন্য একটি প্রোমিজিং ব্রিডিং টুল। বিশ্ব পেয়েছে নতুন এক ইনোভেশান যা ডয়ার্ফ মেইল স্টেরিল রাইচ নামে পরিচিত। যেখানে ২টি ভিন্ন ক্রোমোজমে অবস্থিত ২টি ভিন্ন জিন ২টি ভিন্ন ট্রেইট এর উপর কাজ করে, যা একই সময়ে সাইলেন্স করা হয়েছে। তখনকার সময় এটিই ছিল বিশ্বে সর্বপ্রথম। তিনি ২০১৮ সালে গবেষণা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নিউ ফেইস অফ গ্লোবাল সাইন্স: ওডব্লিউএসডি সাকসেস স্টোরিসে ভূষিত হন। এছাড়া একই বছর ইটালীতে একটি কনফারান্সে অংশগ্রহণের সময় টিভিতে তার স্বাক্ষাৎকার নেয়া হয়। পরবর্তীতে ওডব্লিউএসডি ওয়েব সাইডে তা সংযোজন করা হয়।

ড. আফছানার স্বপ্ন ছিল আদর্শ প্ল্যান্ট ব্রিডিং হিসেবে নিজেকে গড়া। তাই ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে হাইব্রিড রাইস ব্রিডার হিসেবে নিয়োগ লাভের পর নিজেকে দক্ষ প্ল্যান্ট ব্রিডার হিসেবে গড়তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক্স এন্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং এ ২য় বার এমএস ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এজি (অনার্স) ও এমএস ইন ইনভাইরনমেন্টাল সায়েন্সে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশান সম্পন্ন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলের মা। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কাউলাড়া গ্রামের এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। মো. আনছার উদ্দিন ও রোকেয়া বেগম সম্পতির ২য় সন্তান ড. আফছানা আনছারী। ছোটবেলা থেকেই প্রচন্ড মেধাবী ছিলেন। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় হালুয়াঘাট উপজেলায় ১ম স্থান অধিকার করেন। পরে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও মুমিনুন্নিসা সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।

ড. আফছানা আনছারী বলেন, কাজের স্বীকৃতি অবশ্যই অনেক ভাল লাগে। এ ধরণের সম্মাননা আমার ভবিষ্যত অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে, যা আমাকে আরো বেশী কাজের দিকে আগ্রহী করে তুলবে। এ সম্মাননার জন্য তিনি আল্লাহ এবং তার পরিবার সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি সবার নিকট দোয়া প্রার্থী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App