×

সারাদেশ

নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:১১ পিএম

নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহরে ভারত-বাংলাদেশ মিলন সম্প্রীতি উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: প্রতিনিধি

নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহরে সম্প্রীতি উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: প্রতিনিধি।

নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সম্প্রীতি উৎসব

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহরে ১০ দিন ব্যাপী গান্ধি মেলার সমাপনি দিনে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর মননে ও স্মরণে কুলাউড়ার শরীফপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহরে ভারত-বাংলাদেশ মিলন সম্প্রীতি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশের শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আইরিন মুন্নির পরিবেশনায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এবং ভারতীয়দের পরিবেশনায় ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

কৈলাশহরের আশ্রয় সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের সাবেক গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী ও আশ্রয় সামাজিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক বিধায়ক বিরজিৎ সিনহার সভাপতিত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভায় অংশনেন দুই দেশের সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মী ও সূধীজন। এ সময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী অধ্যাপক রজত শুভ্র চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হেসেন ছমরু, উনকোটি জেলা পরিষদের সদস্য বদরুজ্জামান, সাংবাদিক দেবাশিষ দত্ত ও কৈলাশহরের সাংবাদিক সুব্রত চক্রবর্তী।

এ সময় উৎসবে ভারত-বাংলা সম্প্রতি উৎসবের বাংলাদেশ সমন্বয়ক সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক বিকুল চক্রবর্তীর সমন্বয়ে বাংলাদেশের কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব, কুলাউড়া প্রেসক্লাব ও জুড়ি প্রেসক্লাবের আমন্ত্রিত সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিকর্মী, শিক্ষক সমন্বয়ে ২৭ জনের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

বেলা ৩টায় বাংলাদেশেরে দুই সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আইরিন মুন্নিসহ অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে ও লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করেনে ত্রিপুরা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রি বিরজিৎ সিনহা। পরে বাংলাদেশের শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আইরিন মুন্নীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ভারতীয় ক্ষুদে শিল্পীরা ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এ সময় বাংলাদেশের অতিথিদের সম্বানে ভারতীয় ক্ষুদে শিল্পীরা একটি নৃত্য ও যোগ ব্যায়াম প্রদর্শন করে।

[caption id="attachment_193609" align="aligncenter" width="700"] ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহরে সম্প্রীতি উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: প্রতিনিধি।[/caption]

এরপর আয়োজক ভারতীরা বাংলাদেশের অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করেন। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে ত্রিপুরার সাবেক মন্ত্রী বিরজীৎ সিনহা ও উনকোটি জেলা পরিষদের সদস্য বদরুজ্জামানসহ আয়োজকদের সম্মাননা জানান। তাছাড়া বাংলাদেশি সাংবাদিকরা ভারতীয়দের মাঝে দেশ থেকে নেয়া মিষ্টি বিতরণ করেন। এসময় উৎসব স্থল ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।

আয়োজক আশ্রয় সামাজিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ত্রিপুরারসাবকে মন্ত্রী বিরজীৎ সিনহা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ১৯৪৭ সালের আগে আমরা একই দেশের নাগরিক ছিলাম। এরপর পাকিস্তান ভারত ভাগ হয়ে যায়। তারপর ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। সে সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল। এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, সামাজিকতা, ক্রীড়া সবই এক। তবে দুই দেশ হওয়ায় মাঝ খানে কাঁটাতারের বেড়া। তবে আমাদের সম্প্রীতি অঁটুট আছে। আগামীতে আরও বড় আকারে সম্প্রীতি মেলার আয়োজন করা হবে আর তখন আরও বাংলাদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্যে সাংবাদিক রজত শুভ্র চক্রবর্তী ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন ছমরু বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সে সময়ের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে যে সাহায্য করেছেন তা বাংলাদেশ কোনোদিন ভুলবে না। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তারা ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় প্রতিবেশী দেশ। উভয়ের মধ্যে এ সম্প্রতি ও ভাতৃত্ববন্ধন অটুঁট থাকবে।

সম্প্রীতি উৎসবের ছবি-

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App