×

জাতীয়

অভিযোগ পেয়েও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কমিশন

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৭ পিএম

বিগত দিনে নির্বাচন কমিশন এককভাবে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি করে ঢাকা উত্তরের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, আমাদের সব অভিযোগ তারা আমলে নিচ্ছে না এটা ঠিক না। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ওনারা আমাদের অভিযোগ আমলে নেওয়ার পরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রার্থী বলেন, নির্বাচন কমিশন বার বার চাচ্ছে আমরা ওনাদের ওপরে আস্থা রাখি। এটা হাস্যকর একটা ব্যাপার। কারণ দেশের সব জনগণ এবং অনেক সুশীল সমাজ সবাই এটা এক যোগে বলছে যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপরে কারও কোনো আস্থা নেই। ওনাদের নিজেদের কথাতেই নিজেরা বিতর্কের সৃষ্টি করলেন। তারপরও কিভাবে আস্থা রাখবো। তাবিথ বলেন, আমাদের তিন/চারটা ইস্যুতে কমিশন কোনো মন্তব্য করেননি। আমি মনে করি ওনারা করতে পারেননি। প্রথমটা ছিল সফটওয়্যারের ব্যাপারে। আমরা যখন প্রশ্ন করেছি পৃথিবীতে টাইম বেজ সফটওয়্যার খুব একটা সোজা জিনিস। মানে একটা টাইম আসলে ভোটার তালিকা যাই আসুক, সফটওয়্যারটা বদলি হয়ে যাবে। আমরা দুটি উদাহরণ দিয়েছি। একটা হলো বাংলাদেশ ব্যাংক সবচেয়ে সিকিউরড জায়গা। সেখানে ছুটির দিনে সারভার অফলাইনে ছিল, কোনো ভলট বা অবকাঠামো ভেঙে কেউ টাকা চুরি করতে ঢুকেনি। তারপরও ১০০মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি হয়ে গেছে। কারণ সেখানে একটা ইনভাইটেড সফটওয়্যার ছিল, যেটা একটা সময় বা একটা তারিখে একটিভ হয়ে গেছে। আর একটা সিম্পল উদাহরণ দিয়েছিলাম যে, কেউ যখন মোবাইল ফোন নিয়ে রোমিং এ যায়, তার ফোনটা যখনই অন্য দেশের নেটওয়ার্কে কানেকট হবে ওই দেশের সময় ও তারিখ অনুযায়ী পুরো ফোন আপডেট হয়ে যায়। টাইমিং সফটওয়্যারটা সিম্পল একটা প্রযুক্তি। ইভিএম মেশিনগুলোতে এই প্রযুক্তিতে যে সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে না এই নিশ্চয়তা আমরা কিভাবে পাবো। এ ব্যাপারে আমরা কোনো জবাব ওনাদের কাছ থেকে পাইনি। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে ইভএম নিয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। ব্যাটারি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, মেশিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ম্যাগনেটিভ চিফ অফিসাররা বাসায় নিয়ে যেতে পারেন। এসব নানা রকম উদাহরণ অতীতে ছিল। এগুলো আমরা বানিয়ে বলছি না। একটা অভিযোগের বিষয়েও কমিশন পরিষ্কার ভাবে বলছে না যে, সমস্যা কিছু ছিল। ইভিএম নিয়ে কি শেষ পর্যন্ত কি হবে জানি না, তবে আমরা এখনও আশাবাদি যে একটা মিউচ্যুয়াল কনসেপ্ট এ আমরা আসবো। কিছু একটা পজিটিভ চেঞ্জ আমি এখনও আশা করছি। ইলেকশন ৩০ জানুয়ারি। এখনও সময় আছে, আরও ২/১ একবার সংলাপের। তাবিথ আউয়াল বলেন, ইলেকশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেকবার বলছি পুরো প্রক্রিয়ায় থাকবো। ইলেকশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরে যাওয়ার মতো কোনো ইচ্ছা বা মন মানসিকতা এবং অবস্থান আমাদের নেই। আমরা ভোটের অধিকার রক্ষা করার জন্য ইলেকশনে যাচ্ছি। এবার আমরা জেনেশুনেই যাচ্ছি যে ভোট চুরি হবে। আমরা জেনেশুনেই যাচ্ছি যে আমাদের ওপরে নানা রকমের হামলা হবে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদের মামলা হবে, বা আরও বেড়ে যাবে। সবকিছু জেনেশুনে আমরা মানসিকভাবে আমাদের কর্মীদের তৈরী করছি। নির্বাচনে সামনে পরিস্থিতির অবনতি হবে এগুলো ওভারকাম করার জন্য আমরা যেন সবাই প্রস্তুত থাকি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App