×

মুক্তচিন্তা

২০২০ শুধু বছর নয়, একটি দশকও- চ্যালেঞ্জ অনেক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:২৩ পিএম

বিশ দশকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা না করতে পারলে আমরা অনিবার্যভাবেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবো। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন দেশপ্রেমিক, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন ইত্যাদি সচেতন নেতৃত্ব। তেমন নেতৃত্বই এই দশকটিকে জাতীয় জীবনে আশীর্বাদের ধারায় বেগবান করতে পারে। সেটি না ঘটলে অভিশাপ আর অভিঘাতে আমরা বিপর্যস্ত হতে পারি। এসব বাস্তবতা মনে রেখেই আমাদের সামনের দিনগুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২০২০ সাল শুরু হয়েছে। এটি শুধু একটি বছরই নয়, বিশের গোটা দশকের শুরুও। বাংলাদেশে এই বছরটি মুজিব বছর হিসেবে পালিত হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বছরের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে শেখ হাসিনা সরকার দেশের তরুণ প্রজন্মসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপিত করার নানা আয়োজনে এই বছর পালন করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভ‚মিকা সবার সম্মুখে নতুন করে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, জনগণের ভ‚মিকা কতখানি, কীভাবে গড়ে উঠেছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল সেটি ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে উপস্থাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্ব, তার রাষ্ট্রচিন্তা, গঠন প্রক্রিয়া তথা বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও বঙ্গবন্ধুর অবিভাজ্য সত্তার ইতিহাস জানার সুযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের জন্য ইতিহাসের নির্ভুল পাঠটি কতটা ও কেন জানা জরুরি সেটি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মুজিব বছর পালনের আয়োজনটি আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে যদি এর রাজনৈতিক পাঠটি ব্যাপক দেশি ও বিদেশি পাঠক বোদ্ধাদের কাছে তুলে ধরার সামগ্রী সহজলভ্য হয় তাহলেই এই বছরটি উদযাপনের প্রভাবটি সুদূরপ্রসারী হতে পারে। ২০২০ সালে আমাদের পদার্পণ ঘটেছে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় সুযোগ সৃষ্টির দ্বারপ্রান্তে। আগের দশকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের বিস্ময়কর বেশকিছু অর্জন সাধন করে আন্তর্জাতিক মহলে চমক সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং উন্নয়নশীল দেশের অভিধা লাভ এই দশকে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের কাছে প্রশংসারও খ্যাতি অর্জন করেছে। এই সময়ে বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে। এর ফলে দারিদ্র্যের ব্যাপক প্রভাব থেকে বেশির ভাগ মানুষকে মুক্ত করে আনা সম্ভব হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে শুধু কৃষিই নয়, তথ্যপ্রযুক্তি, নানা ধরনের সেবা যুক্ত হয়েছে, বদলে গেছে গ্রামীণ মানুষের জীবন ব্যবস্থা। এক কোটির মতো মানুষ প্রবাসে উপার্জন করছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশের গার্মেন্টসসহ বেশকিছু শিল্প, কৃষিজ পণ্য, খামার শিল্প, মৎস্য চাষ, পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, নির্মাণ শিল্প, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে ব্যাপক পরিবর্তন এই এক দশকে বাংলাদেশের শহর ও গ্রামকে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের যুগান্তকারী পর্বে উন্নীত করেছে। বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য, ক‚টনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও মর্যাদার একটি জায়গা করে নিতে পেরেছে যার ঘাটতি আগের দশকগুলোতে ব্যাপকভাবে ছিল। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ পরনির্ভরশীল কোনো দেশ নয় বরং অর্থনৈতিক ও ক‚টনৈতিক ক্ষেত্রে আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্রের খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের মর্যাদার উন্নতি ঘটেছে, প্রতিবেশী দেশগুলো বাংলাদেশের অর্জনে বেশ চমকিত। গত এক দশকের অর্জন সবার কাছেই জানা তবে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারা সব সময়ই আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সাধন করতে হয়। নতুন নতুন সমস্যা মোকাবেলা করেই এসব পরিবর্তনের গতিপ্রবাহ ক্রিয়াশীল রাখতে হয়। গেল দশকে এসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় সাফল্য যেমন আছে, একই সঙ্গে ঘাটতি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া সমস্যার জটিলতাকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। এ ক্ষেত্রে ১১ লাখ রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনাকাক্সিক্ষত সমস্যার জটিলতা বৃদ্ধি করেছে। বিশ্ব অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দ্রুতই জটিলতর হচ্ছে, জঙ্গিবাদ, বর্ণবাদ, উগ্রজাতীয়তাবাদ, অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব তীব্রতর হচ্ছে। বৈশ্বিক সম্পর্ক নানা জটিলতায় অনাস্থার গভীরতম তলদেশে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২০ সাল এবং গোটা বিশ্বের দশকটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সংঘটিত উন্নয়ন ও পরিবর্তনশীলতা কতখানি ধরে রাখতে পারবে সেটি এক মস্ত বড় প্রশ্নের বিষয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের পরিবর্তনশীলতা, সক্ষমতা ও দুর্বলতার অবস্থান সম্পর্কে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে শুধু নয়, সচেতন মহলসহ বৃহত্তর জনগণের মধ্যেও স্পষ্ট কিছু বোধ ও ধারণা থাকা দরকার। দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হলো আমাদের বৃহত্তর রাজনৈতিক অঙ্গন আগামী এক দশকের কঠিন ও জটিল অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের উপায় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা করছে বলে মনে হয় না। বিশের দশকে পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব কোনো কোনো দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসলেও বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ ও অভিঘাত হিসেবে কতটা ক্ষত নিয়ে আসতে যাচ্ছে সেটি সম্পর্কে কোনো ভাবনা চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। দেশের শ্রমজীবী মানুষদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জ্ঞান ও কর্মদক্ষতায় প্রস্তুত করে তোলা না হলে সূচিত উন্নয়নের ধারা দ্রুতই ফিকে হয়ে যেতে পারে, কোটি কোটি মানুষ বেকারত্বের ঘানি টানতে আদৌ সক্ষম হবে কিনা তা দুর্ভাবনার বিষয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞানদক্ষতায় ঢেলে না সাজানো হলে বেকারত্বের সংখ্যা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশ-বিভুঁইয়ে অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে, তারা ফিরে আসতে বাধ্য হবে নিজ দেশে। দেশের অভ্যন্তরে যেসব বৃহৎ শিল্পকারখানা রয়েছে সেগুলো উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মজীবী মানুষের চাহিদা পূরণে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কর্মজীবীদের নিয়ে আসবে অথচ দেশে লাখ লাখ তরুণ এখনই বেকার রয়েছে। এদের এখনই যদি উন্নত প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে না তোলা হয় তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশের শ্রমবাজারে আমরা বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছি। আমাদের বেশ কিছু গার্মেন্টস শিল্প প্রতিযোগিতার সংকটে পড়েছে, অসংখ্য অদক্ষ ও কমদক্ষ শ্রমিক চাকরি হারাতে বসেছে। সামনের দিনগুলোতে এটি আরো ত¦রান্বিত হতে পারে। এমনিতে দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হলেও আধুনিক আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষা-সাংস্কৃতিক, সচেতনতা সমমানে বিকশিত হয়নি বরং গ্রামীণ ও শহুরে বৃহত্তর সমাজে পশ্চাৎপদতা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি সংকীর্ণ ভাবাদর্শের বেড়াজাল অনেক বেশি বিস্তৃত হয়েছে, তাদের মধ্যে বিশ্ব বাস্তবতার এসব জটিল সমস্যার আগমনী সংকেত নিয়ে কোনো বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক ধারণার স্থান জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। বৃহত্তর সমাজ এখনো একুশ শতকের বিশ দশকে আর্থসামাজিক সমস্যার ধারণা নিয়ে মোটেও অবহিত নয়। নিয়তিবাদে বিশ্বাসী এই সমাজ কীভাবে ধেয়ে আসা ঝড় ও তাণ্ডব মোকাবেলা করবে তা ভাবতেই কষ্ট হয়। এর ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ বেড়েই চলছে, অদক্ষ-কমদক্ষ মানুষের রুটি-রুজির জায়গা আগামী বছরগুলোতে আরো হ্রাস পেতে থাকবে। সেক্ষেত্রে সমাজ ও রাষ্ট্র বিশের দশকে যেসব সামাজিক সমস্যার আবর্তে আরো জড়িয়ে পড়বে সেগুলো কীভাবে মোকাবেলা করা হবে তার কোনো পরিকল্পনা রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে না। এমনিতেই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবনে আইনশৃঙ্খলা মেনে বেড়ে ওঠার সংস্কৃতির অভাব রয়েছে। সে কারণে সমাজের সব সেক্টরেই নৈরাজ্যের সংস্কৃতি মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। কোনো গোষ্ঠীই আইন মেনে চলার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত নয়। ফলে আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনের সব খাতে তথা ব্যবসা বাণিজ্য, পরিবহন, সেবা, শিক্ষা, কৃষি, শিল্পসহ সর্বত্র নিয়ম-নীতির তলানিতে অবস্থান করছে। এমন একটি সমাজ একুশ শতকের বিশ দশকে শিল্পবিপ্লবের আগমনী বার্তায় মাথা তুলে দাঁড়াবে নাকি লুটিয়ে পড়বে সেটি এখনই দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তেমন ভাবনা-চিন্তা প্রস্তুতি, শৃঙ্খলা এবং জনসচেতনতা তৈরির তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে দুর্বৃত্তায়িত গোষ্ঠী যার যার অবস্থান থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরছে। দেশের দুর্নীতি সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গিলে খাচ্ছে। নীতি-নৈতিকতা পড়াভ‚ত হচ্ছে। আদর্শ মুখের ভুলিতে সীমিত থাকছে, গণতন্ত্রের পাকা বুলি রাজনৈতিক, নাগরিকসহ বিভিন্ন মহলে যেভাবে উচ্চারিত হচ্ছে তা শুনে ও দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছে তরুণ সমাজ। প্রকৃতপক্ষে অসাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক সচেতনতা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা, মেধা, মনন ও সৃজনশীলতার প্রসার দেশের আর্থসামাজিক সব ক্ষেত্রে প্রয়োগ ঘটানোর সক্ষমতা ব্যতীত মোটেও গণতন্ত্রের প্রসার ঘটানো সম্ভব নয় এই বাস্তবতা মোটেও বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। গণতন্ত্রের ফাঁকা আওয়াজ সমাজে শোনা গেলেও প্রকৃত গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্তের ব্যাপক অনুপস্থিতি সব মহলেই তীব্রতর হয়েছে। সেই জায়গা দখল করে রেখেছে সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদ, ধর্মান্ধতা, বিকৃত ইতিহাসচর্চা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভ‚লুণ্ঠিত করার মতো অপশক্তি যারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাকে নিজেদের ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও শ্রেণিস্বার্থে ব্যবহার করতে মোটেও কুণ্ঠিত নয়। এমন একটি আপতবিরোধী, স্ববিরোধী শক্তির বারবাড়ন্ত অবস্থায় আমরা গোটা বিশের দশক কীভাবে আমাদের জাতীয় জীবনের গুরুতর সমস্যাগুলো সমাধান করব সেটি বুঝতে সক্ষম কিনা তাই মস্ত বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ একদিকে অপার সম্ভাবনার মধ্যে প্রবেশ করেছে, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানা সংকটে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা, উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যথাযথভাবে না নিলে আমরা কী ধরনের সংকটে পতিত হতে যাচ্ছি সেটি এখনি ভাবা দরকার। কেননা বিশ দশকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা না করতে পারলে আমরা অনিবার্যভাবেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবো। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন দেশপ্রেমিক, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন ইত্যাদি সচেতন নেতৃত্ব। তেমন নেতৃত্বই এই দশকটিকে জাতীয় জীবনে আশীর্বাদের ধারায় বেগবান করতে পারে। সেটি না ঘটলে অভিশাপ আর অভিঘাতে আমরা বিপর্যস্ত হতে পারি। এসব বাস্তবতা মনে রেখেই আমাদের সামনের দিনগুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App