ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পরিচালনায় দলের প্রবীন সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএনপি। উত্তর ও দক্ষিন সিটির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে এ দুজন নেতা থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসরাম আলমগীর। শনিবার ( ৪ জানুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা দুইটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করেছি। দক্ষিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। সমন্বয়ক থাকবেন মির্জা আব্বাস এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তাদের সাথে আরো দায়িত্বে থাকবেন আবদুস সালাম, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আহবায়ক থাকবেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সমন্বয়ক থাকবেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বেগম সেলিমা রহমান। এই দুইটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি হবে ২১ সদস্যের। দুই কমিটির পুরো সদস্যের তালিকা পরে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে জানান ফখরুল। ইসিকে চিঠি দেবে বিএনপি মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে। আমরা যেহেতু লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি সেহেতু নির্বাচনে থাকাটা উচিত বলে আমরা মনে করি। আমরা বলতে চাই, এই নির্বাচন কমিশন একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠান, তারা এখন পর্যন্ত একটা নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি। এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা চিঠি দেবো। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমাদের প্রস্তাব ও দাবি-দাওয়াগুলো সেই চিঠিতে থাকবে। পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রচারের জন্য গণমাধ্যমে কাছে আলাদা আলাদাভাবে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। ফখরুল বলেন, বৈঠকে ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ইভিএম প্রত্যাখান করেছি। আমরা কখনোই এই মেশিনে ভোট মেনে নেবো না। ইভিএমের ওপর জনমত তৈরি করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করব। এ বিষয়ে রোববার বিকালে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হওয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।