×

মুক্তচিন্তা

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং আমাদের উদ্বেগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:১৪ পিএম

ভারতে ২০-২৫ কোটি মুসলমানের বাস। তারা যুগ যুগ ধরে সেখানে বাস করছেন। তাদের ভিটেমাটি ছাড়া করার যে কোনো চেষ্টা মারাত্মক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। ক্ষমতার উদগ্র বাসনা মোদি-শাহ জুটিকে উন্মত্ত করে তুলেছে। তাদের যদি সম্বিৎ না ফেরে, তারা যদি মুসলমানদের অধিকারহীন করার অন্যায় আইন বাস্তবায়ন থেকে পিছু না হটেন, তাহলে তাদের ক্ষমতার মসনদ নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় তাদের জন্য সতর্ক-সংকেত নিশ্চয়ই।
আসামে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে পিছু হটে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস করে ভারতজুড়ে তুমুল হৈচৈ বাধিয়ে দিয়েছে। ১২ ডিসেম্বর এই নতুন আইন পাসের পর থেকে এর বিরোধিতা শুরু হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার প্রধান পরামর্শক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হয়তো ভাবেননি যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এত প্রবল জনমত গড়ে উঠবে। মোদি-শাহ জুটি এতদিন বাধাহীনভাবে তাদের ইচ্ছা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলেও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বড় ধরনের হোঁচট খেলেন বলেই মনে হচ্ছে। এই আইনের উদ্দেশ্য ভারত থেকে ‘অবৈধ’ অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেয়া। বিজেপি মনে করে ভারতে কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ থেকে বিরাটসংখ্যক মানুষ গিয়ে বসবাস করছে। এতে করে ভারতীয়দের স্বার্থহানি ঘটছে। অনুপ্রবেশকারীদের সবাইকে নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। তাদের আপত্তি ‘অহিন্দু’ অর্থাৎ সোজা কথায় মুসলমানদের নিয়ে। চরম হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ভারতকে একটি ‘হিন্দু’ রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা করে আসছে। তাদের ঝুলিতে এ ব্যাপারে সহজ যুক্তি হলো, ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়েছিল। মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান এবং হিন্দুদের জন্য ভারত বা ইন্ডিয়া বা হিন্দুস্থান। দেশ ভাগের পর পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র হলো ঠিকই, কিন্তু ভারত হিন্দু রাষ্ট্র না হয়ে হলো ধর্মনিরপেক্ষ বা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। মুসলমানরা ভারতে সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়েই বসবাস করে আসছে। দেশ ভাগের ২৪ বছর পর পাকিস্তান রাষ্ট্রটি আর এক থাকতে পারল না। ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলেও দেখা গেল বাঙালি মুসলমানরা অবাঙালি মুসলমানদের কাছে বঞ্চনা-বৈষম্যের শিকার হতে থাকল। ধর্ম পাকিস্তানের দুই অংশের ভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হলো না। প্রতিবাদী বাঙালিরা একাট্টা হলো। লড়াই-সংগ্রামের অনেক ধাপ অতিক্রম করে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক অসম সাহসী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হলো। ভারত অবশ্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কার্যত ধাত্রীর ভ‚মিকা পালন করেছিল। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতাকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়, তা বাংলাদেশকে কার্যত একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করে ফেলে। একপর্যায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠী কার্যত দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির জমজমাট অবস্থা দেখে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপিও তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকেই বেছে নেয় এবং তারা এতে সমর্থনও পায়। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির দ্রুত উত্থান ঘটে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান যদি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হতে পারে তাহলে ভারতও হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হলে দোষের কী থাকতে পারে? পৃথিবীতে মুসলমানদের জন্য ৫৭টি রাষ্ট্র থাকতে পারলে একটি ‘হিন্দু’ রাষ্ট্র থাকলে আপত্তির কী আছে? মূলত এই সরল যুক্তিতেই বিজেপি এগিয়ে যাচ্ছে। গত নির্বাচনে তারা ভালো ফলও করেছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি আসন এককভাবেই পেয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপিকে বেপরোয়া করে তুলেছে। এবার সরকার গঠনের পর ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। প্রথমে সংবিধান থেকে ৩৭০ ও ৩৫/এ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল। তারপর উচ্চ আদালতের ওপর ভর করে অযোধ্যায় বিতর্কিত রাম মন্দির নির্মাণের পথ সুগম করা। শেষে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের মাধ্যমে অমুসলিম নাগরিকদের বৈষম্যের দিকে ঠেলে দেয়া। প্রথম দুটি পদক্ষেপে তেমন বাধা না পেলেও তৃতীয় পদক্ষেপে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে মোদি-শাহের বিজয়ের ধারা। এই আইন অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে যারা নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি (সহজ কথায় অমুসলিম) ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। ভারতের অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই আইনটিকে অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করে প্রত্যাখ্যান করছেন। বৈষম্য ও প্ররোচনামূলক আইনটি চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে একাধিক রিট হয়েছে। এই আইন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য এবং বহুত্ববাদকে নস্যাৎ করে ভারত রাষ্ট্রের ঐক্যের ভিত্তিকেই নড়বড়ে করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন ও সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল জাতীয় কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘এই আইন ভারতের হৃদয়কে ছিন্নভিন্ন করেছে।’ অবিজেপি অনেক রাজনৈতিক দলই এই আইনের বিরুদ্ধে। অকংগ্রেসী সরকার যেসব রাজ্যে ক্ষমতায় সেসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এই আইন কার্যকর করতে না দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বের অবস্থানে আছেন। আইনটির প্রয়োগে সম্ভাব্য কী কী ক্ষতি বা বিপদ হতে পারে সেগুলো নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকেনি। ট্রেনে-বাসে আগুন দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। পুলিশি অ্যাকশনে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। বল প্রয়োগ করে, ভয়ভীতি দেখিয়েও আন্দোলন দমন করতে পারছে না সরকার। আন্দোলনে ছাত্র-তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমে আন্দোলনের বিস্তার কেন্দ্রীয় সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে কেবল মুসলমানরা আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করে মোদি-শাহ আগুন আরো উসকে দিয়েছেন। ভারতের উদার, বহুত্ববাদী, ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক সত্তাটি বিপদগ্রস্ত হওয়ায় ধর্ম পরিচয়নির্বিশেষে নাগরিক সমাজের সচেতন ও সংগঠিত গোষ্ঠী সরব, সচল ও প্রতিবাদী হয়েছেন। ভীম পার্টির প্রধান চন্দ্র শেখর যাদব আন্দোলনে অংশ নিয়ে দিল্লিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন তিনি তিহার জেলে আছেন। জেল থেকে এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন শুধু মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নয়, এই আইন দলিতদেরও স্বার্থবিরোধী। তেমনি এনআরসি চালু হলে প্রত্যককে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। শুধু মুসলিমরাই নন, তফসিলি জাতি ও জনজাতি, দরিদ্র, গৃহহীন, শ্রমিক, কৃষক প্রত্যেককে নথি দিতে হবে। গৃহহীন, বনবাসী, জনজাতি যাযাবররা অধিকার হারাবেন।’ যাদব আরো বলেছেন, ‘এনআরসি এবং সিএএ দেশের সংবিধানের ওপর আঘাত এবং এই আন্দোলন সংবিধান রক্ষার আন্দোলন, যা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন।’ দিল্লি শাহিনবাগে ধরনায় বসেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেই খবর ছাপা হয়েছে কলকাতার একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকে। বলা হয়েছে : ‘প্রথমে মুসলিম মহিলারা, পরে অন্য ধর্মের মানুষ, পুরুষ-নারী নির্বিশেষে। বছর শেষে যা সরকারবিরোধিতাকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে।’ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হিন্দু ছাত্রী বলেছেন, ‘আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি মানা যায় না।’ ভারত যদিও বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে এই বলে যে, এই আইন তাদের অভ্যন্তীরণ বিষয়। এতে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে এম আব্দুল মোমেনও বলেছিলেন, ‘ভারত এমন কিছু করবে না, যাতে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।’ কিন্তু বাস্তবে প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ থাকেই। দুশ্চিন্তাও হয়। ভারতের এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের অভিঘাত থেকে বাংলাদেশের মুক্ত থাকার কোনো উপায় নেই। ভারতের পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে এক কাতারে ফেলে ‘অপবাদ’ দিয়েছেন তা বাংলাদেশের সুনাম ও সম্মানের সঙ্গে যায় না। তা ছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে, তাও শেখ হাসিনার সরকারের জন্য বিব্রতকর। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এখান থেকে দেশত্যাগের ঘটনা ঘটে না, তা নয়। তবে তা সবসময় নির্যাতনের কারণে হয় না। সংখ্যালঘুরা এখানে বৈষম্য-বঞ্চনা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে সত্যি। সম্পত্তি বেদখল হয়েছে, মন্দির ও মূর্তি আক্রান্ত হয়েছে, নারী নিগ্রহের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সেজন্যই সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগ করেছে, নাকি দেশত্যাগের পেছনে আরো কারণ আছে, তা বিচার-বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। হিন্দুদের একাংশের ভারতমুখিনতার পেছনে রাজনৈতিক-সামাজিক এবং মনস্তাত্তি¡ক কারণও আছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় থেকে শেখ হাসিনার সময়ে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ-পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিমাতাসুলভ আচরণ কমেছে। এখন সংখ্যালঘুদের মধ্যে আস্থা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিজেপি সরকার নির্যাতনের কাহিনী প্রচার করায় এখানকার সংখ্যালঘুদের জীবন নতুন করে অনিরাপদ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ দেশের উগ্র সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সব সময় সুযোগ সন্ধানে থাকে। ভারতে মুসলমানদের হয়রানি-হেনস্থা করা হলে এখানেও পরিস্থিতি গরম হতে পারে। ভারত থেকে নাগরিকত্ব হারানো মুসলমানদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা হলেও অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বাংলাদেশ থেকে দেড় কোটি হিন্দুকে ভারতে আশ্রয় দেয়া হয়তো বড় সমস্যা নয়। কিন্তু ভারত থেকে মুসলিম বিতাড়ন শুরু হলে তা সামাল দেয়া সহজ হবে না। ভারতে ২০-২৫ কোটি মুসলমানের বাস। তারা যুগ যুগ ধরে সেখানে বাস করছেন। তাদের ভিটেমাটি ছাড়া করার যে কোনো চেষ্টা মারাত্মক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে।। ক্ষমতার উদগ্র বাসনা মোদি-শাহ জুটিকে উন্মত্ত করে তুলেছে। তাদের যদি সম্বিৎ না ফেরে, তারা যদি মুসলমানদের অধিকারহীন করার অন্যায় আইন বাস্তবায়ন থেকে পিছু না হটেন, তাহলে তাদের ক্ষমতার মসনদ নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় তাদের জন্য সতর্ক-সংকেত নিশ্চয়ই। উন্নত ও শক্তিশালী ভারত গড়ার জন্য মানুষ মোদিকে ভোট দিয়েছে। এখন মোদির কারণে যদি ভারত টুকরো টুকরো হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে মানুষের মধ্যে মোদিপ্রীতির পরিবর্তে মোদিভীতি তৈরি হবে। বিভুরঞ্জন সরকার : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App