সারাদেশের মতো পুঠিয়া উপজেলাতেও পাঠ্যবই উৎসব হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথমদিনে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে নতুন বছরের পাঠ্যবই। তবে ভিন্নচিত্র দেখা গেছে উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নে রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বিনামূল্যে বই বিতরণের বিনিময়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে চাঁদা। নতুন বই বিতরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। যদিও এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি দাবি করেছেন বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণে কোনো অর্থ আদায় করা হয়নি।

শিক্ষার্থীর ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয় চত্বরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়। এসময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে অভিভাবকরা তাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

শিক্ষাকরা জানান, বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমদিন যেসব শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মানজুর রহমান, শামিমা আক্তার ও পারভেজ রানা অভিযোগ করে জানান, সকালে বই বিতরণ চলাকালে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হুসনেয়ারা ও শুরজান বেগম চাঁদার টাকা আদায় করেছেন। তারা জানিয়েছেন আদায়করা টাকা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে ব্যয় করা হবে।

পরে অভিভাবকরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বলেন, গেল বছরে পিকনিকের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছিলো। তবে এবার বই বিতরণের সময় কোনো প্রকার চাঁদা আদায় করা হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওলিউজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।