×

অর্থনীতি

বাণিজ্যমেলা শুরু,এখনো শেষ হয়নি সাজসজ্জা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০২:৪৭ পিএম

বাণিজ্যমেলা শুরু,এখনো শেষ হয়নি সাজসজ্জা

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বছরের সবচেয়ে বৃহৎ আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। প্রতিবারের মতো এবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলার উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যে বাণিজ্যমেলা শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো শেষ হয়নি সাজসজ্জা। এবার স্টল প্যাভিলিয়নের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কমেছে। এ ছাড়া রাজস্ব বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাড়ানো হচ্ছে মেলার টিকেটের দাম।

মঙ্গলবার ( ৩১ জানুয়ারি) বাণিজ্যমেলা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাণিজ্যমেলার প্রবেশে টিকেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি টিকেটের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের টিকেটের মূল্য ছিল ৩০ টাকা। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকেটের মূল্য আগের মতোই ২০ টাকা রাখা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ১৯৯৫ সালে শুরু হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার (ডিআইটিএফ)। ২৪টি আসর সফলভাবে সম্পন্ন করে ২০২০-এ ২৫তম বছরে পদার্পণ করছে।

মেলার টিকেটের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগে এক কাপ চা খেতেন তিন টাকায়, এখন পাঁচ টাকা লাগে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া মেলায় এবার স্টলের সংখ্যা কমেছে। রেভিনিউয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার টিকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামীকাল (বুধবার) থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকবে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন পণ্য রপ্তানির টার্গেট নিয়েছি। পোশাক শিল্পসহ চামড়া ও পাটের বহুমুখী পণ্য, সিরামিক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আমরা রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করার লক্ষ্যে কাজ করছি। স্টল কমিয়ে বিনোদন স্পেস ও টয়লেট বাড়ানোসহ বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধি করায় এবার বাণিজ্যমেলায় প্রবেশের ফি বাড়ানো হয়েছে।

এবার মেলার অবকাঠামো নির্মাণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি ব্যুরোর মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ২৮১ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, গত বছরের তুলনায় এবার মেলায় টয়লেটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৮০টি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেলগুলোতে খাবারের দাম সবার নাগালে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে টয়লেট ফি দিতে হতো পাঁচ টাকা। এবার সেটা মওকুফ করা হয়েছে। খাবারও উচ্চ মূল্যে কিনতে হবে না।

প্রসঙ্গত, দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারের মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন রাখা হয়েছে ৬৪টি। এ ছাড়া সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৩টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৯টি ও প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন ৪২টি। মেলা প্রাঙ্গণে রেস্তোরাঁ থাকবে দুটি, স্ল্যাকস, বুথ সাতটি, প্রিমিয়ার স্টল ৮৪টি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ছয়টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন আটটি, সাধারণ স্টল ১০৭টি এবং ফুড স্টল রাখা হয়েছে ৩৫টি। পাশাপাশি বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৭টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি এবং বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল ১৭টি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App