×

জাতীয়

নির্বাচনে সিপিবি, বর্জন বাসদ-বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির

Icon

nakib

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:০১ পিএম

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দল দুটির পৃথক সভায় নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে তাদের মেয়র প্রার্থী সাজেদুল হক রুবেল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। উত্তরে মানবেন্দ্র দেবকে দলটি মেয়র প্রার্থী বলে ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত মানবেন্দ্র প্রার্থী হননি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছে কাউন্সিলর প্রার্থীও বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। আজ বুধবার বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা পার্টি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বলে দলটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ ও রাজেকুজ্জামান রতন। সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলায় হয়, বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল যখন ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির এক বছর ‘কালো দিবস’, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করছে তখন সকলকে অপ্রস্তুত রেখে সরকার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তড়িঘড়ি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে, যাতে বিরোধী দলসমূহ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বাসদ মনে করে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একচেটিয়া দখল, ভাগবাটোয়ারা বা ভোটের সংখ্যার নৈকট্য ইত্যাদি যাই করুক না কেন, কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না। বরং ভোট জালিয়াতির আরেকটি নবসংস্করণ হবে মাত্র। এসব বিবেচনায় বাসদ নির্বাসিত গণতন্ত্রের নির্বাচনী আসরে শরীক না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সভায় আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখান ও বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ন্যূনতম কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন ভোটের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে পারেনি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন কার্যত গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন বলে বাংলাদেশে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। আর নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে তাদের দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এই অবস্থায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখান ও বর্জন করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা কায়েমের আন্দোলনে যুক্ত হবার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App