×

বিনোদন

বছর জুড়ে শোকের মাতম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৪০ পিএম

বছর জুড়ে শোকের মাতম

২০১৯ সালে বাংলাদেশের শোবিজ ও সংস্কৃতি অঙ্গন হারিয়েছে বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তিকে। এদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী, চিত্রশিল্পীসহ বিভিন্ন মাধ্যমের মানুষ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই প্রতিবেদন সাজানো হলো। লিখেছেন শাহনাজ জাহান।

মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ২২ জানুয়ারি আফতাবনগরের নিজ বাসায় মারা যান। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অন্যদিকে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ ২৩ মার্চ দিবাগত রাত ১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দীর্ঘ ৫০ বছরের ক্যারিয়ারে ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’-এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান রয়েছে তার।

এ বছরই শোবিজ অঙ্গন হারিয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদকে। সিনেমার পর্দায় লাখ লাখ মানুষকে হাসিয়েছেন তিনি। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল অসংখ্য মানুষকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

২৪ এপ্রিল রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা সালেহ আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করে এদেশে কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ঢাকার টিকাটুলির বাসায় ২৮ এপ্রিল মারা যান কৌতুক অভিনেতা আনিস।

এদিকে বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের এমআইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৭ মে মারা যান। ১৮ দিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুর নেয়া হয় সুবীর নন্দীকে। সেখান থেকে তিনি আর ফেরেননি।

প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমেদ ২ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্যদিকে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১০ জুলাই ভোররাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২৬ আগস্ট মারা যান চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক খলিলুর রহমান বাবর। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। ২৫ অক্টোবর মারা যান অভিনেতা ও নির্মাতা হুমায়ূন সাধু। উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী আয়েত আলী খানের ছেলে সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব মোবারক হোসেন খান ২৪ নভেম্বর নিজ বাসায় মারা যান।

চলতি বছরই আমরা হারিয়েছি দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানকে। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মারা যান তিনি। বছরের শেষের দিকে সবাই স্তব্ধ করে দিয়ে ওপারে পাড়ি জমান তরুণ সঙ্গীত পরিচালক পৃথ্বীরাজ। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজের স্টুডিওতে ১৫ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর শোক এখনো ভুলতে পারেননি। এই গুণী শিল্পীকে বিদায় জানিয়ে শেষ হচ্ছে ২০১৯ সাল। শোক ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ঢাকা শোবিজ ও সংস্কৃতি অঙ্গন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App