বছরজুড়েই চাপে ছিল অর্থনীতি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ দূরত্ব ও সময় কমবে। দেশের (মোট দেশজ উৎপাদন) জিডিপি আনুমানিক এক শতাংশ বাড়বে। মোট ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বছরের একেবারে শেষভাগে এসে এক পেঁয়াজের মতো এক পণ্যেই মূল্যস্ফীতির বারোটা বেজে গেছে। বছরজুড়েই অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের বাজারও ছিল আকাশচুম্বি। পাশাপাশি লাগামহীনভাবে বেড়েছে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম। যার ফলে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। এখনো ভালো প্রবৃদ্ধি আসেনি রপ্তানি আয়ে। বছরজুড়েই বেড়েছে খেলাপি ঋণ। এদিকে দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে নতুন আইন করার পরেও ভ্যাট আদায় বাড়েনি। ফলে অর্থবছরের কোনো মাসেই লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারেনি রাজস্ব আয়। তবে রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই মুহূর্তে অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক সূচক ‘রেমিটেন্স’। সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়লেও হঠাৎ ব্যাংক থেকে বেসরকারি খাতের ঋণ নেয়া অনেক কমে গেছে। তবে বেড়েছে সরকারের ঋণ করার প্রবণতা। রেকর্ড পরিমাণে কমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। নানামুখী অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেও রেকর্ড জিডিপি বাড়ার কথা জানিয়েছে সরকার। আরেকটি সুসংবাদ এই বছরেই মাথাপিছু আয় গিয়ে ঠেকেছে ২ হাজার ডলারের কাছাকাছি। সঙ্গে উন্নয়নের জোয়াড়ে এগিয়ে চলছে পদ্মা বহুমুখী সেতুুসহ বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ। বছরব্যাপী অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক ভালো অবস্থানে ছিল না বলে জানিয়েছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, উন্নয়নের সঙ্গে অপ্রাপ্তি অনেক। অবকাঠামো দুর্বলতা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের মতে, যে কোনো মূল্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তবে সবকিছুর ওপর তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন ২০২০ সালে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর।
পেঁয়াজ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড চলতি বছর পেঁয়াজ নিয়ে এক ধরনের লঙ্কাকাণ্ড দেখল দেশবাসী। সরকারের সুষ্ঠু বাজার তদারকির অভাবে মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে দেশের ভোক্তা শ্রেণির পকেট থেকে লুট করা হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। ৫০ টাকার পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে ২৫০ টাকায় ওঠে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এরপর দেশি পেঁয়াজের সেই দর গিয়ে ঠেকে ২৮০ টাকায়। বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, গত অর্থবছর খাদ্য মূল্যস্ফীতি যেটি কমার প্রবণতা ছিল সেটি মূলত বাম্পার ফলনের কারণে। কিন্তু সেটি এখন আর নেই। এ বছর গ্যাসের দাম বাড়ায় পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়াসহ গ্যাসনির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এছাড়া ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। যদিও এখনো পরিষ্কার নয়, কীভাবে এই আইন বাস্তবায়ন হবে। ভ্যাটের কারণে আমদানি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে পাইকারি খুচরা সব ক্ষেত্রেই দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই প্রভাব পড়ছে মূল্যস্ফীতিতে।
আমদানি ও রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস রপ্তানি খাত। আর এ খাতেই এখন প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক। সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সাড়ে ১২ শতাংশ কম। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ভোরের কাগজকে বলেন, সত্যিই খুবই খারাপ অবস্থা। আমাদের সব অর্ডার ভিয়েতনাম-ভারতে চলে যাচ্ছে। সরকারের পলিসি সাপোর্ট ছাড়া এই খারাপ অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব না। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের নীতি সহায়তা দরকার। এবং সেটা দ্রুত দরকার। আমরা রপ্তানি খাতের জন্য টাকা-ডলারের আলাদা বিনিময় রেট চাই। আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সেটা ঠিক করে দিতে হবে।
রাজস্ব আয়ে ধস রপ্তানি ও আমদানি কমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির মন্দার কারণেই ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। সর্বশেষ হিসাব মতে, সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি প্রায় ২০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। এই চার মাসের প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের সামান্য বেশি, অথচ এবার গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। মূলত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আয়ের প্রধান তিন খাতেই আদায় কমেছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছর থেকেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সরকার চলছে ধার করে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাংক খাত থেকে বেসরকারি খাত ঋণ নিয়েছে অনেক কম। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি মাত্র দশমিক ৬৪ শতাংশ। যদিও বেড়েছে সরকারের ঋণ করার পরিধি। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ৪৭ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে ৯ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা; আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়েছে ৩৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়া সরকারের পুঞ্জীভ‚ত ঋণের স্থিতি বা পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা।
লাগামহীনভাবে ডলারের দাম আমদানিকারকরা চাইছেন কম মূল্যে ডলার পেতে। রপ্তানিকারকরা ডলারের বেশি মূল্য পেতে রপ্তানি বিল নিয়ে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাচ্ছেন। রেমিট্যান্স হাউসগুলোও বেশি মূল্যে রেমিট্যান্সের অর্থ বিক্রির জন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দরাদরি করছে। প্রতিনিয়ত চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া দরে ডলার বিক্রি করছে না কেউ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময়মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। যদিও এ দামে দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানেই ডলার পাওয়া যায়নি। আন্তঃব্যাংক লেনদেনেই ডলারের দর উঠেছে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। আর খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যাংকিং খাতে গলার কাঁটা খেলাপি ঋণ বছর জুড়েই ঋণখেলাপিদের নানা ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ব্যাংক খাতে উচ্চমাত্রার খেলাপি ঋণ নিয়ে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা মহলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই খেলাপি ঋণ কমানোর বিষয়ে ব্যাপক সরব। খেলাপি ঋণ কমাতে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত অর্থেই খেলাপি ঋণ কমানোর ওপর জোর দিতে হবে। এ জন্য ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা দরকার।
রেমিটেন্সে জোয়ার চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় রেমিটেন্সে জোয়ার বইতে শুরু করেছে। বিদেশে অবস্থানরত এক কোটি প্রবাসী এখন দেশে উৎসাহ নিয়ে বৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন। সরকারি উদ্যোগের ফলে রেমিটেন্সের পালে হাওয়া লেগেছে। অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে সুখবর নিয়ে শুরু হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছর। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৬ দিনেই ১৩০ কোটি ২১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত বছরের পুরো জুলাই মাসের প্রায় সমান। এদিকে রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।
বিনিয়োগ বাড়ায় ও কর্মসংস্থানে আশার আলো গত এক বছরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ সন্তোষজনক। বিনিয়োগ বাড়ায় কর্মসংস্থানে আশার আলো দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ঘোষণা দিয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৭৮৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। ইতোমধ্যে ৩৯টি কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য জমি নিয়ে ২০টি উৎপাদন শুরু করেছে। এর মধ্যে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে পণ্য বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১০ কোটি ডলার। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য জমি নিয়েছে বিদেশি বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এসিআই, পিএইচপি, বিএসআরএম, অনন্ত গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, এনার্জি প্যাক, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, বসুন্ধরা, টিকে গ্রæপসহ অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি নিয়েছে।
জিডিপিতে রেকর্ড গত কয়েক বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে রেকর্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ৬ অঙ্কের বৃত্ত ভেঙে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন ৮-এর ঘরে অবস্থান করছে। রূপকল্প-২১ সামনে রেখে এই জিডিপি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যমতে, অর্থবছর শেষে এই প্রবৃদ্ধি হয় ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়া চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ, পুরো অঞ্চলে ব্যবসায়িক আস্থার ঘাটতি, জাপানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জার্মানিতে পরিবেশ ইস্যুতে গাড়ি উৎপাদন কমে যাওয়া, এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে চাহিদা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীরগতি থাকবে বলে মনে করছে আইএমএফ। এছাড়া সমস্যা বাড়াতে পারে বাণিজ্য যুদ্ধ ও বেক্সিট প্রভৃতি। কিন্তু এতসবের পরও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকবে।
মাথাপিছু আয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার। প্রতিবছর মাথাপিছু আয় বাড়ছে। দেশ স্বাধীনের সময় বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ছিল মাত্র ১২৯ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে গত ৪৭ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় ১৫ গুণ বেড়েছে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকের দুটিতে উত্তীর্ণ হলে কোনো দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ তিনটি সূচকেই যোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুুর কাজ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ দূরত্ব ও সময় কমবে। দেশের (মোট দেশজ উৎপাদন) জিডিপি আনুমানিক এক শতাংশ বাড়বে। মোট ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।