বছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র দুই দিন। আর নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ)-২০২০’। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে এবার মেলার প্রধান ফটক তৈরি হচ্ছে স্মৃতিসৌধের আদলে। এর সঙ্গে থাকবে পদ্মা সেতুর নকশার মিশেলও। আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য থাকবে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা।

এদিকে বাণিজ্যমেলার মাঠে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বেশির ভাগ প্যাভিলিয়নের মূল অকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কোনো কোনো প্যাভিলিয়নে চলছে শেষ মুহূর্তের তুলির আঁচড়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাণিজ্যমেলার মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উপপরিচালক ও বাণিজ্যমেলার সদস্য সচিব মো. আবদুর রউফ এ ব্যাপারে বলেন মুজিববর্ষকে সামনে রেখে এবার মেলার প্রধান ফটক হবে স্মৃতিসৌধের আদলে। ফটকে পদ্মা সেতুরও নকশার কিছু অংশও থাকবে। এ বছর মেলায় থাকছে ৫০০টি স্টল। মেলা প্রাঙ্গণের ভেতরে পর্যাপ্ত ফাঁকা স্থান রাখা হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর এই কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারো থাকবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ডিজিটাল সেন্টার, দুটি শিশুপার্ক, মা ও শিশু কর্নার এবং রক্তদান কেন্দ্র। অন্য বছরের চেয়ে এবার বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নকে আরো সমৃদ্ধ করা হবে। গত বছরের মতো এবারো বাণিজ্যমেলার সব তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। থাকবে অ্যাপের ব্যবস্থাও। তিনি জানান, এখনো পুরোদমে প্রস্তুতির কাজ চলছে। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পুরো প্রস্তুতি শেষ হবে। এদিকে মেলায় এবার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকেটের দাম বাড়ছে। ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এবার তা ৪০ টাকা করা হচ্ছে। তবে শিশুদের জন্য টিকেটের দাম আগের মতোই ২০ টাকা স্থির থাকছে। মেলায় এবারো থাকবে অনলাইনে টিকেট কেনার ব্যবস্থা।

মেলার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মেলা প্রাঙ্গণে কর্মব্যস্ত শ্রমিকরা। কেউ মালামাল আনা-নেয়ার কাজ করছেন। কেউ রং-তুলির শেষ আঁচড় বুলিয়ে দিচ্ছেন প্যাভিলিয়নে। খটখট শব্দে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণের চারপাশ। সব মিলিয়ে দম ফেলার ফুসরত নেই শ্রমিকদের। মেলার প্রবেশপথে মূল ফটকের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে এখনো পুরো আকৃতি পায়নি প্রধান ফটক। বড় প্যাভিলিয়নগুলোর বেশির ভাগেরই অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ। রাস্তা নির্মাণের কাজও চলছে। তবে ছোট ছোট অনেক স্টলের কাজই এখনো শুরু হয়নি। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ১ জানুয়ারি শুরু হয়ে মেলা চলবে পুরোমাস।

মেলা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ ছাড়াও ২০টি দেশ এবারের মেলায় অংশ নেবে। মেলার ভেতরের পরিবেশ ঠিক রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে ইপিবি। একই সঙ্গে খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে মেলার কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।