×

সারাদেশ

গাছ কেটে ফুলের বাগান, থানায় অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৯ পিএম

গাছ কেটে ফুলের বাগান, থানায় অভিযোগ

গুরুদাসপুর( নাটোর). বটগাছের নিচে ফুলের বাগান করার জন্য কাছটির ছোট বড় আটটি ডাল কাটা হয়েছে। /ছবি. প্রতিনিধি।

গাছ কেটে ফুলের বাগান, থানায় অভিযোগ

গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুস সালাম প্রধান শিক্ষক শের এ আলমের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একটি জাম গাছ ও একটি পুরাতন বট গাছের ছোট বড় বেশ কয়েকটি ডাল কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় নাটোর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ধারাবারিষা গ্রামবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. আরমান আলী। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে ডাকযোগে আসা অভিযোগটি পাওয়া যায়।

অভিযোগে জানাগেছে, বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে ২৩ ডিসেম্বর সকালে বিদ্যালয়ের পূর্বপাশের একটি জাম গাছ এবং একটি পুরনো বটগাছের ছোট বড় আটটি ডাল কর্তন করা হয়েছে। বটগাছটির ডালগুলো কেটে গাছটিকে ন্যাড়া করার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শের এ আলম জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিকটি এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বসেই বটগাছের নিছে ফুল বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একারণে বটগাছের ডাল ও জাম গাছ কর্তন করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের পূর্ব পাশেগাছ দুটির অবস্থান। ভবন আর গাছের মাঝামাঝি দশ ফুটের ফাঁকা দূরত্ব রয়েছে। গাছ আর ডাল কর্তনের পর তা দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বটগাছটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে বাশের বেড়ায়। পাশেই গাছটির ডালপালা কাটা নিয়ে বেশ আক্ষেপ করছেন ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রক্তন ছাত্র। প্রক্তন ছাত্র মাসুদুর রহমান ও আরমান আলীসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, কোন কারণ ছাড়াই বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে বিদ্যালয়ের পুড়নো ভবনের পূর্বপাশের মূল্যবান গাছগুলো কেটে সাবার করা হয়েছে। ওই গাছের নিচেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে সহপাঠিদের সাথে খেলা করতো। আবার বিদ্যালয় ছুটির পর স্থানীয় লোকজন গাছের নিচে বসে আরাম করতেন। অথচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বিদ্যালয় ফুল বাগান করার অজুহাতে জাম গাছ ও বটগাছের ডাল কেটে ১৭ হাজার টাকায় তা বিক্রি করেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুস সালাম বলেন- গাছের নিচে ফুল বাগান করা হবে। এজন্য পরিচালনা কমিটির রেজুলেশন করেই গাছ ও গাছের ডাল কাটা হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন- গাছ কাটার অধিকার কারো নাই। পরিচালনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত হলেও গাছ কর্তনের কোন নিয়ম নেই। গাছ কর্তনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App