×

পুরনো খবর

কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম

কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান

নতুন বছরে পা রাখার আগে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। পক্ষান্তরে, প্রায় ১৮৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর বহাল রয়েছে চীনা শুল্ক। পাশাপাশি, দুই পক্ষেই ‘কোয়ালিটেটিভ’ পদক্ষেপের হুমকি থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে চীনে ব্যবসা করতে থাকা মার্কিন কোম্পানিগুলো। কোনো ধরনের ছাড় দেয়ার আশু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না শি কিংবা ট্রাম্প কারোর মধ্যেই। ফলত নতুন বছরে একটি পূর্ণ-বিকশিত বাণিজ্য যুদ্ধে রূপ নিয়েছে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব।

আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোরও বেশ আগে টুইটারে লিখেছিলেন ট্রাম্প, চীন আমাদের মিত্রও নয়, বন্ধুও নয়। তারা শুধু চায় আমাদের হারিয়ে দিয়ে এই দেশটার দখল নিতে। পাঁচ বছর পর রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি আবারো বলেন, চীনের হাতে আমাদের দেশের এভাবে ধর্ষিত হওয়াটা বরদাশত করতে পারি না আমরা। বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুরির গল্প এটা। ২০১৭ সালে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যসংঘাত নিরসনে ১০০ দিনের অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।

এপ্রিলেরই শেষ সপ্তাহে মার্কিন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংস্থা ইউএসটিআরকে বলা হয়, চীনা ইস্পাত/অ্যালুমিনিয়াম আমদানি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি কিনা, সেটি খতিয়ে দেখার জন্য। ওই বছরই ২২ মে একটি নতুন চুক্তি করে দুই দেশ। এর সুবাদে চীনের কৃষি, জ্বালানি ও অর্থবাজারে দাপটে বিচরণের অধিকার লাভ করে মার্কিন কোম্পানিগুলো। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রান্না করা মুরগির মাংস রপ্তানির সুযোগ পায় চীন। তিন মাস পর মার্কিন প্রযুক্তি হস্তান্তর, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি এবং উদ্ভাবন সংক্রান্ত ইস্যুতে চীন সরকারের অবস্থান ও নীতিমালার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইউএসটিআর। দুই মাস পর রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যান ট্রাম্প, দুই পরাশক্তির সম্পর্কের বরফ গলার আভাস মেলে বৈশি^ক গণমাধ্যমে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বাইরে থেকে সব ধরনের সোলার প্যানেল আমদানির ওপর ৩০ শতাংশ এবং ওয়াশিং মেশিন আমদানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।

এ শুল্কের আওতা থেকে ছাড় পায় কেবল কানাডা। পরের মাসে কড়া পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেন আমাদানির তালিকায় থাকা শীর্ষ চীনা পণ্য, যেমন, অ্যারোস্পেস, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সব ধরনের যন্ত্রপাতির ওপর। সব ধরনের ইস্পাত আমদানির ওপর ২৫ এবং অ্যালুমিনিয়াম আমাদনির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। বোধগম্য কারণে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে শুল্ক-আওতার বাইরে রাখা হয়। চীনা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বেজার হন শি। এক সপ্তাহের মাথায় ফলমূল, ওয়াইন, স্টিল পাইপ, শূকরের মাংস এবং রিসাইকেল হওয়া অ্যালুমিনিয়ামসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১২৮টি পণ্যের ওপর পাল্টা ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীন।

ফের তৎপর হয়ে ওঠে ইউএসটিআর। ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিতে থাকা ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ১ হাজার ৩৩৪টি চীনা পণ্যের তালিকা প্রকাশ করে তারা। পরদিনই সয়াবিন, অটোমোবাইল এবং কেমিক্যালসহ ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ১০৬টি মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করে চীন। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পর মার্কিন অবরোধ লঙ্ঘন করেছে বলে চীনের টেলিকম কোম্পানি জেডটিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তারা। সাত বছরের জন্য জেডটিইর সঙ্গে মার্কিন কোনো কোম্পানি ব্যবসা করতে পারবে না বলে আদেশ জারি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পশুখাদ্য ‘সরঘুম’ আমদানির ওপর ১৭৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীন।

দুই সপ্তাহ পর চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বাণিজ্যবিবাদ নিরসনে সংলাপে বসে ফের। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, দুই বছরের ভেতর বিরাজমান বাণিজ্য ঘাটতির অন্তত ২০০ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে আনতে হবে চীনকে। উত্তরে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে চীন, ফলে কোনো সুরাহা ছাড়াই শেষ হয় সংলাপ। অচলাবস্থা চরমে পৌঁছালে সুর নরম হতে দেখা যায় উভয় পক্ষেরই। এক টুইটে চীনের জেডটিইকে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। পাল্টা চীনও আগ্রহ দেখায় মার্কিন সরঘুম আমদানি নিয়ে কথা বলতে। মে মাসের ২০ তারিখে চীন আরো বেশি মাকিন পণ্য কিনবে, এই শর্তে বাণিজ্য লড়াইয়ে ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণায় রাজি হয় দুই পক্ষ। দিনকয়েকের মধ্যেই শুল্কনীতি পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

পরের সপ্তাহে বেইজিংয়ে ফের আলোচনায় বসে চীন-মার্কিন দুই পক্ষের বাণিজ্য নেতারা। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ফের বাণিজ্য করার সুযোগ পায় জেডটিই। তবে যার যার পক্ষ থেকে বিপক্ষের শুল্কযোগ্য পণ্য তালিকায় রদবদল ঘটায় উভয় পক্ষই। জুলাইয়ের ৬ তারিখ থেকে এসব শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানায় উভয় পক্ষ। এবং যথারীতি এর বাস্তবায়নও শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দিন পর চীনে প্রস্তুত ২০০ বিলিয়ন ডলারের ৬ হাজার পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ইউএসটিআর। চার সপ্তাহ পর এই শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা জানায় দেশটির শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা। একইসঙ্গে নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রশ্ন তুলে রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ৬৬টি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন সরকার। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এর পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুত হওয়া ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ৫ হাজার ২০৭টি পণ্যের ওপর ৫-২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীন। যথারীতি পাল্টাপাল্টি ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে বিবদমান পক্ষদ্বয়।

পরের সপ্তাহে সোলার প্যানেলের ওপর শুল্ক আরোপ করায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দরবারে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নালিশ আনে চীন। অভিযোগ, ফের বৈঠকে বসে দুই দেশের মাঝারি স্তরের প্রতিনিধিরা। এবার ওয়াশিংটনে। কোনো সুরাহা ছাড়াই শেষ হয় এবারকার উদ্যোগটিও। চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি পণ্যে শুল্ক আরোপ ও বিশ^ বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দায়েরের খেলা। পরের মাসেই চীনের মোট ৫১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। দুই সপ্তাহ পর আরো ৬০ বিলিয়ন ডলার মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে চীন। এমনকি এ নিয়ে হতে যাওয়া বাণিজ্য সংলাপ বয়কটের ঘোষণাও দিয়ে দেয় তারা। কয়েক সপ্তাহ এভাবে চলার পর নভেম্বরে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে শি-ট্রাম্প বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে উভয় পক্ষ। নভেম্বরে ফের ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণায় রাজি হয় দুই পক্ষ।

১৯ নভেম্বর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো উদীয়মান প্রযুক্তি রপ্তানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মূল আশঙ্কা, সংবেদনশীল এসব প্রযুক্তি হাতিয়ে নিতে পারে চীন। জি২০ সম্মেলনে ট্রাম্প-শি বৈঠকে উত্তেজনা নিরসনে ফের সম্মত হয় দুই দেশ। বলা হয়, ৯০ দিনের মধ্যে নতুন কোনো শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবে না কোনো দেশ। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো বেশি কৃষি এবং জ্বালানি পণ্য কিনতে রাজি হয় ট্রাম্প। মার্কিন অটো আমদানির ওপর শুল্ক কমায় চীন। ফের দেশটিতে ঢোকার সুযোগ পায় মার্কিন সয়াবিন। চলতি বছর জানুয়ারিতে বেইজিংয়ে মুখোমুখি বসে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। দুই দিনের আলোচনা শেষমেশ গড়িয়ে যায় তৃতীয় দিনে। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস নিয়ে চীনের সঙ্গে মতদ্বৈধতায় পূর্বনির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করে দেয় ওয়াশিংটন। দিন দশেক পর দুই দিনের বৈঠক বসে দুই পক্ষের।

চীন জানায় ৫০ লাখ টন মার্কিন সয়াবিন কিনবে তারা। ট্রাম্প জানান, ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরই ফের জানান, বাণিজ্যবিরোধ মীমাংসার আগে শির সঙ্গে বৈঠক করবেন না তিনি। মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বেইজিংয়ে ফের বসে দুই পক্ষ। শি নিজেই এসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে। বৈঠকে স্থির হয়, বিরোধিতা যেমন চলছিল, চলবে, তবে পাশাপাশি চালু থাকতে হবে মীমাংসার আলোচনাও। দিন দশেক পর ফের দুই পক্ষের বৈঠক বসে ওয়াশিংটনে। ‘আলোচনা ফলপ্রসূ’ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে শুল্ক কার্যকরের তারিখ পিছিয়ে দিতে রাজি হন ট্রাম্প। এক মাস মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকার পর মার্চের শেষ নাগাদ ফের মুখোমুখি হন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। মার্কিন অটো পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক খারিজ করে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে চীনে উৎপাদন হওয়া সিনথেটিক অপিয়াম-শ্রেণিভুক্ত ফেনটানিল উৎপাদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীন।

এপ্রিলের দ্বিতীয় এবং শেষ সপ্তাহে দুইয়ের সম্পর্কে ফের উন্নতির আভাস পাওয়া গেলেও মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই আবারো শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দেন ট্রাম্প। দুই পক্ষের মধ্যে ১১তম বৈঠকেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে চীনের ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তিন দিন পর পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা জানায় চীন। দিনকয়েকের মধ্যে চীনের হুয়াওয়েই কোম্পানি তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। জানিয়ে দেয়, মার্কিন কোনো কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারবে না তারা। পাল্টাপাল্টি একই ধরনের পদক্ষেপ নেয় চীন। ৬০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয় চীনও। দুই সপ্তাহ পর চীন-মার্কিন বাণিজ্যের শে^তপত্র প্রকাশ করে চীন। জুন মাসে হুয়াওয়েইর ওপর অবরোধ শিথিল করা হয়। মেলে আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত।

জুলাইয়ে ১১০টি চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে চীনকে মুদ্রা-জালিয়াত হিসেবে অভিহিত করেন ট্রাম্প। পাল্টা মার্কিন কৃষিপণ্য কেনা বন্ধ রাখে চীনা কোম্পানিগুলো। সেপ্টেম্বরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে তৃতীয়বারের মতো নালিশ জানায় চীন। এরপর ফের সংলাপে বসতে রাজি হয় দুই পক্ষ। দিনকয়েক পর অনেকগুলো মার্কিন পণ্য শুল্কের আওতামুক্ত করে চীন। অনুরূপ ছাড়ের ঘোষণা আসে মার্কিন পক্ষ থেকেও। নভেম্বরে উভয় পক্ষকে আরো বেশি ছাড় দিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ।

নতুন বছরে পা রাখার আগে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যেও ওপর শুল্ক আরোপ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। পক্ষান্তরে, প্রায় ১৮৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর বহাল রয়েছে চীনা শুল্ক। পাশাপাশি, দুই পক্ষেই ‘কোয়ালিটেটিভ’ পদক্ষেপের হুমকি থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে চীনে ব্যবসা করতে থাকা মার্কিন কোম্পানিগুলো। কোনো ধরনের ছাড় দেয়ার আশু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না শি কিংবা ট্রাম্প কারোর মধ্যেই। ফলত নতুন বছরে একটি পূর্ণ-বিকশিত বাণিজ্য যুদ্ধে রূপ নিয়েছে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App