×

সারাদেশ

রোদে ধুলা বৃষ্টিতে কাদা দুর্ভোগে পথচারী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৩১ পিএম

রোদে ধুলা বৃষ্টিতে কাদা দুর্ভোগে পথচারী
রোদে ধুলা বৃষ্টিতে কাদা দুর্ভোগে পথচারী
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের রুস্তমহাটে অধিকাংশ সড়ক ও ফুটপাত দখল যেন নিত্যদিনের ঘটনা। এরই মধ্যে একদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সড়কে জমেছে কাঁদা পানি, আবার রোদে উড়ে ধুলাবালি। এ ভোগান্তি থেকে কোনো মতেই মুক্তি মিলছে না স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীদের। কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত আচরণে বৃষ্টি ও রোদ- দুটোতেই অন্তহীন ভোগান্তি শিকার বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, একদিনের অল্প বৃষ্টিতে কাঁদার ভোগান্তি এবং রোদ হলে ধুলাবালির দুর্ভোগ। তাছাড়া অতিবর্ষণে পড়তে হয় জলাবদ্ধতার মুখে। ফলে বিরামহীন দুর্ভোগে দিনযাপন করতে হচ্ছে বটতলী রুস্তমহাটের এলাকাবাসীকে। গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে সড়কের কোথাও জমেছে পানি, কোথাও কাদাযুক্ত মাটি মাড়িয়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। তাছাড়া রুস্তমহাট বাজার থেকে হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া মাজার সড়ক পর্যন্ত অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানদার সামনের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে রেখেছে। এ ফুটপাতে ফলের দোকান ও দোকানের সরঞ্জাম এবং পান-সিগারেট, ফল ও বিক্রেতারা। কেউ বেঞ্চ বা গাড়ি বসিয়ে আবার কেউ দোকানের মালামাল ফুটপাতের ওপর রেখে এ দখল বজায় রেখেছেন। অন্যদিকে মৌসুমী ফলের দোকান ফুটপাত জুড়ে চালাচ্ছে বেচাকেনা। সড়কের উপর পার্কিং, ভ্রাম্যমাণ দোকান, ফেরিওয়ালা, কাঁচাবাজার, মোড়ে মোড়ে গাড়ির বিশৃঙ্খল জটলা, যাত্রী ওঠানামা ইত্যাদি কারণে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। কলেজ শিক্ষার্থী সাদিয়া সোলতানা এমি বলেন, ফুটপাত দিয়েও হাঁটার কোনো উপায় নেই। ফুটপাত গুলো দোকানিরা দখল করে রেখেছে। সড়কের কাঁদা পানি দিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হয় । রুস্তমহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, উপজেলার জন্য রুস্তমহাট একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তাছাড়া দূরদুরান্ত থেকে মাজার জিয়ারতের উদ্যোশে হাজারো মানুষ ছুঁটে আসেন। সড়কটি মেরামত খুবই জরুরী। তবে সড়কের উপর বাজারের ইজারাদাররা ভাসমান দোকান বসিয়ে সড়কে যানজট সৃষ্টি করে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কয়েকবার অভিযান চালালেও কয়েক ঘন্টা পার আবারো একই চিত্র হয়ে যায়। আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় বটতলী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে রায়পুর, জুঁইদন্ডী, বরুমছড়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। সড়কের বাজারের অংশ বাড়ানো হলে কাদা পানি ও যানজট কমে যাবে। এ জন্য মন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই কাজ হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App