স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ‘খ’ ইউনিটের অধীন কলা ও মানবিক অনুষদের ৩০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাদের সবাইকে এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড না আনায় হলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। খুলনা থেকে আসা পরীক্ষার্থী বিপ্লব, উজিরপুর থেকে আসা গোলাম রাব্বানি, বাগেরহাট থেকে আসা প্রিয়া, ফরিদপুর থেকে আসা ইতি খানমসহ প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন কার্ড না আনায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। পরীক্ষার্থী গোলাম রাব্বানি বলেন, তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে আসায় সময় এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড আনতে পারিনি। কিন্তু প্রবেশপত্র এনেছিলাম। তাও পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রবেশপত্রে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেয়া ছিল, প্রবেশপত্রের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে আসতে হবে কিন্তু তারা এ নির্দেশনা পালন করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শুক্রবার(২৭ ডিসেম্বর) বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করেই ‘খ’ ইউনিটের কলা ও মানবিক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইদিন সকাল ১০ টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো। ডিজিটাল জালিয়াতিরোধে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রিক জ্যামার স্থাপন করা হয়েছিলো। ‘খ’ ইউনিটে ১০ হাজার ১০৬জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। প্রত্যেক আসনের বিপরীতে ছিলো ৩৫ জন পরীক্ষার্থী। ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ নগরীর সরকারী বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আলেকান্দা সরকারী কলেজ, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় ও বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইদিন বিকেল তিনটায় ‘গ’ ইউনিটে ব্যবসায় অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘গ’ ইউনিটের তিনশ’ আসনের বিপরীতে ছয় হাজার ১২ জন আবেদনকারী থাকায় প্রত্যেক আসনের বিপরীতে ১৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর পরপরই সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। তিনি কেন্দ্র পরিদর্শন করে সার্বিক প্রস্তুতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব না ছাড়ানোয় সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তবে সকালের বৃস্টিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান উপাচার্য। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের ২৪টি বিভাগে ১৪৪০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষর্থীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯শ’ ৫৬ জন। প্রতি আসনে প্রতিদ্বন্ধি ৩৫ জন। উল্লেখ্য, গত ১৭ ও ১৮ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ধার্য্য থাকলেও উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহ গুরুত্বপূর্ন ৫টি পদ খালী থাকায় ওই দফায় পরীক্ষা স্থগিত হয়েছিল। ওইসময়ে ছাপানো ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাদ দিয়ে নতুন প্রশ্নপত্র দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।