×

সারাদেশ

বরিশালে শীতে জবুথবু নগরবাসী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম

বরিশালে শীতে জবুথবু নগরবাসী

গরম কাপড়ের দোকানে বেড়েছে লোকজনের ভিড়

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃস্ট লঘুচাপের কারণে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে বৃস্টি হয়েছে। শুক্রবার(২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় মুশলধারে বৃস্টি শুরু হয়ে শেষ হয় প্রায় ৯টায়। এর পাশাপাশি শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে নগরবাসী। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে একই কারণে গুড়ি গুড়ি বৃস্টি শুরু হয়। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে ১০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। বৃস্টিভাব আরও ২/১ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস আভাস দিয়েছে। এদিকে আকস্মিক বৃস্টিতে চরম বিড়ম্বনার শিকার হন সাধারন জনগন। বিশেষ করে শুক্রবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহনকারীরা পড়েন মারাত্মক দুর্ভোগে। এতে অনেকেই যথা সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। শুক্রবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন ছিলনা। এদিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে ঠাণ্ডা জনিত রোগ শ্বাসকস্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের তথ্যমতে, দৈনিক ২০ থেকে ৩০ জন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। শেবাচিম হাসপাতালের শিশুদের দুটি ওয়ার্ডে ৩ শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছে। এ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শীত বাড়ায় শিশুদের নিউমোনিয়া ও শ্বাসকস্ট বেড়ে গেছে। এধরনের রোগীই এখন বেশি। তিনি এজন্য বিলম্ব না করে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নেয়ার পরামর্শ দেন। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা: বাকির হোসেন বলেন, শীতের কারণে বাচ্চাদের প্রদাহজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। এটি অব্যাহত থাকলে ঠাণ্ডাজনিত রোগী আরও বাড়বে। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে এখন ৩ শতাধিক শিশু রোগী রয়েছে। এর মধ্যে ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগী বেশি। তিনি আরও বলেন, রোগী ভর্তির চেয়ে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে বেশি। ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মায়েদের উচিৎ হবে সকালে ও সন্ধ্যায় শিশুদের নিয়ে না বেড়ানো। দুপুরে রোদে রাখা। র্সাক্ষনিক ঢেকে রাখা। গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। স্বাভাবিক খাবারই অব্যাহত থাকবে। এদিকে তীব্র শীতে নগরীর বস্তি এলাকার কিংবা ছিন্নমুল মানুষ নিদারুন কস্টে রয়েছে। বরিশাল নৌবন্দর, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ছিন্নমুল মানুষ শীতে কাঁপছে। হঠাৎ শীত বাড়ায় কদর বেড়েছে গরম পোশাকের। শুক্রবার নগরীর সিটি মার্কেট, নগর ভবন, চৌমাথা, বিবির পুকুর পাড়, জেলা পরিষদ পুকুর পাড় ও হাজী মহসীন সুপার মার্কেট সহ নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এসব গরম পোশাকের ভাসমান দোকান লক্ষ্য করা গেছে। দোকানগুলোতে মানুষের ভড়িও চোখে পড়ার মত। এসব দোকানে ৫০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। নগরীর বিবির পুকুর পাড় শীতের কাপড় বিক্রেতা আঃ রহমান বলেন, বেচাকেনা বাড়ছে। নগরভবনের সামনে শীতের পোশাক কিনতে আসা রিকশাওয়ালা রজব আলী বলেন, শিশুকন্যার জন্য শীতের কাপড় কিনবেন। এসব জায়গায় কম দামে পাওয়া যাচ্ছে তাই কেনার চেস্টা করছেন। তবে হাজী মহসীন সুপার মার্কেটের গরম পোশাক কিনতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, এই মার্কেটটি এখন গলাকাটা মার্কেটে পরিনত হয়েছে। তাছাড়া বিক্রেতাদের আচরনও ভাল না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App