×

সারাদেশ

ভিডিও করায় ক্ষেপলেন সওজ কর্মকর্তা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৭ পিএম

ভিডিও করায় ক্ষেপলেন সওজ কর্মকর্তা

সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। ছবি: প্রতিনিধি।

ভিডিও করায় ক্ষেপলেন সওজ কর্মকর্তা

নাটোর সওজের সহকারী প্রকৌশলী ইউনূস আলী। ছবি: প্রতিনিধি।

সড়ক নির্মাণকাজের ভিডিও ধারন করায় ভোরের কাগজের স্থানীয় প্রতিনিধির মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন নাটোরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ইউনূস আলী। অনুমতি না নিয়ে নির্মাণকাজের ভিডিও ধারন করায় আইসিটি আইনে মামলারও হুমকি দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিহারকোল-আড়ানী সড়ক নির্মাণকাজ চলাকালে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তীব্র ক্ষোভ নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের নেতারা অবিলম্বে প্রকৌশলী ইউনূসকে প্রত্যাহার করে ও ঘটনার তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রমতে, বর্তমানে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বিহারকোল-আড়ানী সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সড়কটি নির্মাণ করছে নাটোরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং কার্যাদেশ পেয়েছেন নাটোরে ঠিকাদার আশফাকুল ইসলাম। ঘটনার সময় সড়কটির গালিমপুর পয়েন্টে কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিল।

পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে সাংবাদিক মিজান ওই নির্মাণকাজের ভিডিও ধারন করছিলেন। সে সময় প্রকৌশলী ইউনূস আলী কাজের মান পরিদর্শন করছিলেন। দেখতে পেয়ে প্রকৌশলী ইউনূস ভিডিও ধারনের কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিক মিজান তার পরিচয় দিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের বিষয়টি জানান।

সাংবাদিক মিজানুর রহমানের অভিযোগ, সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী। এক পর্যায়ে ভিডিও ধারনের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। এরপর অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারন করার অপরাধে আইসিটি আইনে মামলার হুমকি দেন। উন্মুক্ত বিষয়ের ভিডিও ধারনের বিষয়টি জানালে সাংবাদিক চ্যালেঞ্জ করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই প্রকৌশলী। পরে মোবাইল ফোনটি ফেরত চাইলে সেটা পুলিশে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়ে দেন।

[caption id="attachment_190147" align="aligncenter" width="700"] সওজের ক্ষুব্ধ সহকারী প্রকৌশলী ইউনূস আলী। ছবি: প্রতিনিধি।[/caption]

এসময় মিজান ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে চাইলে ধারন করা ভিডিও ডিলিট করে ফোনটি ফেরত দেন। পরে সড়কের নির্মাণকাজের তথ্য জানতে চাইলে তথ্য অধিকার আইনে অফিসিয়াল প্রসেসের কথা জানিয়ে দেন।

জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ওই কর্মকর্তা ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ওই কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন তিনি। না হলে বিচার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ব্যাপারে নাটোর ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহম্মেদ বলেন, সাংবাদিকের সঙ্গে সরকারি একজন কর্মকর্তার এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির খবর ফাঁস হওয়ার আতঙ্কে হয়তো ওই কর্মকর্তা এমনটা করেছেন। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং তদন্ত করে কর্মকর্তার শাস্তির দাবি করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App