তীব্র শৈত্যপ্রবাহে অর্ধ শতকের রেকর্ড ভেঙে গেল বছরে দেশের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেটা ছিল সর্ব উত্তরের উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এবারও তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগেরদিনও সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে, তেঁতুলিয়ায় আকাশ। চারদিকে ঝলমলে রোদ। আকাশে মেঘের আস্তর নেই। চারদিকে ঘনকুয়াশার চাদরও নেই। সকালে কিছুটা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তেই তা কেটে গিয়ে ঝলমলে রোদ ওঠে। অবশ্য আকাশ দেখে শীতের তীব্রতা বোঝা না গেলেও কনকনে বাতাসে তা টের পাওয়া যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হচ্ছে, তাপমাত্রা আরো নামতে পারে। ইতোমধ্যে তাপমাত্রা নেমে আসায় সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে। দুর্ভেোগে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ মাপমাত্রা দেশের মধ্য সর্বনিম্ন। গতকালও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী দুদিন তাপমাত্রার নেমে যাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার রেকর্ডের তথ্যমতে, স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর গত প্রায় ৫০ বছরেও এমন তাপমাত্রার কোনো নজির দেখা যায়নি। তবে গেল বছরের মতো এবারও দ্রুত নেমে যাচ্ছে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা।
রহিদুল ইসলাম বলছেন, রোদের সঙ্গে তাপমাত্রার নেমে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ঝলমলে রোদের মধ্যেও হিমালয় থেকে তীব্র কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। এতেই তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এমন শীতে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।