বিএনপির মেয়র প্রার্থী
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী হতে বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আসাদুজ্জামান রিপন, তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। রিপন ও তাবিথ উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করতে চাইছেন। ইশরাক প্রার্থী হতে চাইছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম কেনেন এই তিন প্রার্থী।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিপন বিএনপির বিশেষ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তাবিথ। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ছেলে। ইশরাক দলের সদ্য প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে। খোকা অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ মেয়র ছিলেন।
বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা আগামীকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দুই সিটির মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর এই দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। প্রার্থী হতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
মনোনয়নপত্র কিনে ইশরাক বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হিসেবে। খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে ধানের শীষের প্রার্থী যারা আছি, তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এই নির্বাচনের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার হবে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। অন্ততপক্ষে নির্বাচনে যদি প্রার্থী হই, ধানের শীষের ভোট দানের আহ্বানে সঙ্গে সঙ্গে নেত্রীর মুক্তির দাবিটা উচ্চকিত হবে।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ২০১৫ সালের নির্বাচনে আপনারা পরিষ্কারভাবে দেখেছেন, জনগণের ব্যাপক সাড়া আমার প্রতি ছিলো। কিন্তু ওই নির্বাচনটা বানচাল করে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির প্রার্থী হতে ইচ্ছুকরা ইভিএম যারা পরিচালনা করবে, সেখানে দলীয় এজেন্ট রাখার বিধান করার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।