×

পুরনো খবর

ইন্টারনেট ব্যবহারে নাগরিক দায়বোধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:১২ পিএম

ইন্টারনেট ব্যবহারে নাগরিক দায়বোধ

ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন জীবনের অনুষঙ্গ। একদিকে ইন্টারনেট আমাদের মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করছে, আমাদের সময় বাঁচাচ্ছে এবং সভ্যতার অগ্রগতিতে কার্যকরি ভ‚মিকা পালন করছে; অন্যদিকে এটা আমাদের ভুল তথ্য দিতে, আমাদের প্রচুর সময় কেড়ে নিতে এবং নৈতিকভাবে কলুষিতও করতে পারে। আমাদেরই বিবেচনা করে দেখতে হবে কীভাবে আমরা সারাবিশ্বের তথ্য আহরণের এই মাধ্যমকে নিজেদের উপকারের জন্য ব্যবহার করতে পারি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের পাশাপাশি অপব্যবহার বেশি হচ্ছে এবং হালে তা ব্যাপকহারে বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ফেইক নিউজ বা গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া বড় ভ‚মিকা পালন করছে। এই মাধ্যমের সুবিধা হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে যে কোনো তথ্য ছড়াতে বেগ পেতে হয় না। যা মন চায় লিখে পোস্ট করা যায়। পুরো বিশ্ব আজ এ সমস্যা মোকাবেলা করছে। আমেরিকা বা ইউরোপ, আফ্রিকাও এমন সময় পার করছে। ভারতও এর বাইরে নয়। আমরাও সেই সময় পার করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে বাংলাদেশে মূলত ফেসবুকের বিকাশ ঘটেছে বেশি। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটিরও বেশি। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যে কোনো মোবাইল ফোনে ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহারের ফলে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। অশিক্ষিত, স্বশিক্ষিত, আধাশিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত সব ধরনের ব্যবহারকারী রয়েছে ফেসবুকে। উচ্চশিক্ষিত অনেক ব্যবহারকারীও বিজ্ঞানমনস্ক ও সচেতন না হওয়ায় স্ক্রিনে ভেসে ওঠা তথ্যকে গুরুত্ব দেন। ফলে সহজেই ভুল তথ্যের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। অথচ ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে এখনো কোনো গাইডলাইন তৈরি হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময় এসেছে অন্তত একটা নীতিমালা তৈরির। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। নীতিমালা তৈরি হলে সবার উদ্বেগ কমবে এবং ওই মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারীরা নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু কেবল নীতিমালা প্রণয়ন করেই ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনও নেই, বরং সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহারের বিষয়ে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ জন্য ডিজিটাল লিটারেসি ও নৈতিকতা বাড়ানো প্রয়োজন।

পিআইডি ফিচার। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App