×

অর্থনীতি

৮ প্রতিষ্ঠান পেল বিএবি’র অ্যাক্রেডিটেশন সনদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:১৭ পিএম

৮ প্রতিষ্ঠান পেল বিএবি’র অ্যাক্রেডিটেশন সনদ

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ এক্রেডিটেশন বোর্ড ৮০টি জাতীয় ও বহুজাতিক পরীক্ষণ ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিদর্শন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানে সক্ষম হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) এর নতুন ভার্সনের নির্ধারিত মান অনুযায়ী ৪টি টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, বিদ্যমান আইএসও মান অনুযায়ী ২টি টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, ১টি মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং ১টি সার্টিফিকেশন বডিকে সনদ প্রদান করা হয়।

শিল্পমন্ত্রী সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মান সংস্থার মান অনুযায়ী বিভিন্ন দেশিয় ও বহুজাতিক গবেষণাগার এবং সার্টিফিকেশন সংস্থার অনুকূলে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ তুলে দেন। এ সময় শিল্পসচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এবারে সনদ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশি ল্যাবরেটরি ঢাকার ওটিএস (প্রা:) লিমিটেড, বহুজাতিক ল্যাবরেটরি জার্মানভিত্তিক টুভ সুড বাংলাদেশ, তুরস্কভিত্তিক ল্যাবরাইট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং আমেরিকাভিত্তিক মডার্ণ টেস্টিং সার্ভিসেস (বিডি) লিমিটেড। এছাড়া, গাজিপুরের ক্রিয়েটিভ ওয়াস লিমিটেড ল্যাবরেটরি, মির্জাপুরের নোমান টেরি টাওয়েল টেস্টিং ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রামের মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি এপিক হেল্থ কেয়ার এবং ঢাকার সার্টিফিকেশন সংস্থা কেজিএস কোয়ালিটি অ্যাকশন লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে গুণগত শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে নতুন নতুন খাতে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের উদ্যোগ জোরদার করতে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সব সময় গুণগত শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। শিল্প পণ্য ও সেবার গুণগতমানের বিষয়ে সরকার কখনও আপস করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোনো কারখানা বেসরকারিখাতে দেয়া হবে না। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এগুলোকে লাভজনক করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তিনি এসব শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগে উৎসাহী দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে এবিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি শিল্পের লোকসানী অবস্থা কাটাতে কাজ না করে বেতন ও ওভার টাইম নেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিবিএ এর অনৈতিক কর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App