২০২১ সালের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫৮ এএম
শুধু আইন দিয়ে নয়, সততা, মানবতা, দেশপ্রেম থাকলে আগামী ২০৪১ সাল নয় ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ সম্ভব বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ৭১-এ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত হোটেল-রেস্তোরাঁ, বেকারি ও মিষ্টি কারখানার গ্রেডিং প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যে ভেজাল মানে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা। তাই আপনারা একবার চিন্তা করুন লাভ হয়তো কম হবে কিন্তু মনের মধ্যে প্রশান্তি থাকবে আপনি নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করেছেন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যদি কোনো হয়রানির শিকার হন আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশপ্রেম থাকলে আমরা সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারব। আইন দিয়ে নয়, সততা, মানবতা, দেশপ্রেম থাকলে আগামী ২০৪১ সাল নয় ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ সম্ভব বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী বলেন, আমি যখন মিষ্টি কিনতে যাই তখন আমার বাচ্চারা বলে বাবু প্রিমিয়ামের মিষ্টি কিনবে। এখন এখানে এসে দেখি প্রিমিয়াম সুইটসের গ্রেড রেড। প্রিমিয়ামের মিষ্টির বক্সসহ দেখলে অনেক উন্নত মানের মনে হয়। তাদের গ্রেড রেড কালার দেখে আমি অবাক। আমার বিশ্বাসের কি অবস্থা। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্র্যান্ডিং-এর পরে তাদের পণ্যের বিষয়ে বা মানের বিষয়ে কোনো খোঁজ না রাখেন তাহলে তো হলো না। সবাইকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন পর্যায়ে কখনো ভেজাল দেয়া হয় না। কৃষকরা কখনো ভেজাল দেন না। সরবরাহ প্রক্রিয়ায় এলেই শুরু হয় ভেজালের প্রসঙ্গ। তাই সবাইকে ভেজালমুক্ত খাবার সরবরাহের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। এজন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এখন ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে, যারা ট্রেনিং পাবেন তাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নিরাপদ্য খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামীতে দেশের প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অফিস করা হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ২৩ হোলেট, রেস্তোরাঁ, বেকারি ও মিষ্টির কারখানার গ্রেডিং প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ‘এ’ গ্রেড, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘বি’ গ্রেড আর ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ‘সি’ গ্রেডে অর্ন্তভুক্ত করা হয় ভালো মানে উন্নীত করার জন্য।