×

রাজধানী

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২২ পিএম

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম)  মাধ্যমে পুরো নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।

সিটি নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জানুয়ারি। ঢাকা উত্তরে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন আবুল কাশেম এবংঢাকা দক্ষিণে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল বাতেন।

কেএম নূরুল হুদা জানান, এ দুই সিটি নির্বাচনে কোন আইনি জটিলতা নেই। ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না, তবে ইভিএম এর কাজে ২ জন করে সেনা সদস্য প্রতিটি বুথে থাকবেন। কেউ পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবে না এবং মনোনয়ন জমার আগে তাদের পদত্যাগ করতে হবে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সিইসি জানান, প্রায় ১৪ হাজার ৪৬৬টি ভোটকক্ষের জন্য ২০ হাজার ইভিএম প্রস্তুত রাখা হবে। আর প্রতি কেন্দ্রে এক জন করে সেনা সদস্য রাখা হলেও লোকবল লাগবে প্রায় ২ হাজার ৫শ জনের মতো।

এছাড়া ঢাকা উত্তরে ১৮ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং দক্ষিণে ২৫জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েন করা হবে না বলে জানান সিইসি। এসময় আরেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিটি ভোট কক্ষে যেহেতু ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে, আর ইভিএমের টেকনিক্যাল টিম হচ্ছে সেনা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে। সেহেতু প্রতিটি কক্ষে ২জন করে সেনা সদস্য উপস্থিত থাকবেন ইভিএম সেবা সহায়তার কাজে।

সিইসি কে এম নুরুল হুদা জানান, ডিএসসিসিতে মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪ টি এবং ১৮টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড রয়েছে। এ সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন, ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ৩৪৯ টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭ হাজার ৫১৬ টি। অপর দিকে ডিএনসিসিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং ২৫ টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড রয়েছে। এ সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১২৪ টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৯৮ টি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, আমরা কোন পক্ষের হয়ে নির্বাচন করি না, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। কোন দল যদি এমন অভিযোগ করেন তাহলে সেটা ঠিক নয়। এ দু সিটিতে নির্বাচনে কোন আইনী জটিলতা নেই। মেয়র নির্বাচনের সাথে সাথে নতুন ৩৬টিসহ সব ওয়ার্ডেও একই সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি। তিনি জানান, যেসব মেয়র বা কাউন্সিলররা পদে আছেন তাদেরকে মনোনয়ন পত্র জমা দেবার আগে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে ভোট করতে পারবেন, তবে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ভোট হবে নির্দলীয় প্রতীকে।

সিইসি জানান, এ দু সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন মেয়াদ শেষ হবার ১৮০ দিনে মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। বিভক্তির পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একসঙ্গে ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। সেই নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে আর দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে প্রথম সভা হয়। সে হিসাবে ঢাকা উত্তরে বর্তমানে দায়িত্বশীলদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর দক্ষিণে একই বছরের ১৬ মে।

নির্দলীয় ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনিসুল হক এবং ঢাকা দক্ষিণেও ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত সাঈদ খোকন মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু আনিসুল হকের মৃত্যুর পর বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের বর্জনের মধ্যে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হন। উপনির্বাচনের আগে আইন সংশোধন হওয়ায় সেই নির্বাচনটি হয় দলীয় প্রতীকে।

রবিবার তফসিল ঘোষণা হওয়ায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে (মঙ্গলবার) আগাম প্রচারণামূলক সব পোস্টার-বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে নামিয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে ইসি। ঢাকা উত্তর সিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় করা হয়েছে বনানী কমিউনিটি সেন্টার এবং দক্ষিণ সিটিতে মতিঝিল কমিউনিটি সেন্টার (বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার) রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে ইসি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App