×

সারাদেশ

কমলগঞ্জে দুই গৃহবধূকে গণ ধর্ষণ, ৭ ধর্ষক আটক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম

কমলগঞ্জে দুই গৃহবধূকে গণ ধর্ষণ, ৭ ধর্ষক আটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সিএনজি অটোরিক্সায় বাড়ি ফেরার পথে দুই গৃহবধূ গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ ধর্ষিতাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৭ ধর্ষককে ব্যবহৃত তিনটি সিএনজি অটো রিক্সা সহ আটক করা হয়েছে বলে জানান, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ।

শুক্রবার ২৫ ও ২০ বছর বয়সী দুই গৃহবধূ শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহর থেকে কমলগঞ্জের মুন্সীবাজারস্থ বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করেন। সিএনজি চালক প্রধান সড়ক দিয়ে না গিয়ে ফাঁড়ি পথে নিয়ে গেলে তারা প্রতিবাদ জানান। এসময় রাস্থা খারাপের অজুহাত দেখায় চালক। অটোরিক্সা চালক ইউসুফ তার সহযোগীদের মুঠোফোনে খবর দিয়ে রাস্থায় ২ জনকে গাড়ীতে উঠায়। এরপর আরো দুটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে ৪ জন এসে যুক্ত হয়। পরে দুই গৃহবধূকে চা বাগাননের নির্জন এলাকায় ৭ জন মিলে গণধর্ষণ করে।পরে ধর্ষকরা দুই গৃহবধুকে পার্শবর্তী বাবু বাজার এলাকায় রাত ৯টায় নামিয়ে দেয়। এ সময় তারা চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। ভয়ে একটি সিএনজি চালক সিএনজি ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী সিএনজি আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজি আটক করে এবং সিএনজির চালককে গ্রেপ্তার করলে তার স্বীকারুক্তিতে আরো ৬ জনকে পুলিশ আটক করে।

এদিকে পুলিশ গুরুতর অসুস্থ্ অবস্থায় ধর্ষিতাদের ঘটনাস্থলে থেকে রাত দেড়টায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় একজন গৃহবধূর একবছরের শিশু সন্তানও সাথে ছিল।

অন্যদিকে রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সময় ব্যবহৃত তিনটি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণের অভিযোগে ৭ জনকে আটক করেন। আটকৃতরা হলো ইউসুফ মিয়া (৩৫), সেলিম মিয়া (৩৬), রবিলাল উড়াং (২০), বিকাশ মুন্ডা (২৩), আবু সুফিয়ান (৪৫), রুবেল মিয়া ( ২৭) ও আলমগীর হোসেন (২৫)। এদের মধ্যে রবিলাল উড়াং, বিকাশ মুন্ডা ও আবু সুফিয়ান দেওড়াছড়া চা বাগানের আর বাকী ৪ জন মৌলভীবাজার সদরের।

এক ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে শনিবার বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ থানায় দুই জন যথাক্রমে ইউসুফ মিয়া ও সেলিম মিয়ার নাম উল্লেখ করে কমলগঞ্জ থানায় গণ ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আটক ৭ জন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালেই মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আদালতে ধর্ষকদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী গ্রহণ করা হবে। এ মামলা তদন্ত করে যদি দেখা যায় আরও কোন আসামী জড়িত তা হলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।

এ ব্যাপাারে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রত্নজিৎ বিশ্বাস জানান, দুজনই গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মেডিকেল পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের অসুস্থতার চিকিৎসাও চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App