×

জাতীয়

ত্যাগীদের নিয়ে কমিটি করার অঙ্গীকার জেলা নেতাদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:১০ পিএম

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ঠিক রেখে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে সঠিক পথে নিতে নেত্রীর নির্দেশে প্রয়োজনে যুদ্ধ নামতেও প্রস্তুত তৃণমূল নেতাকর্মীরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সংগঠনের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নতুন কমিটি ঘোষণার আগে এমন অঙ্গীকারই ব্যক্ত করেছেন তারা। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তেব্যের পর আওয়ামী লীগের ৮টি সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ৬টি বিভাগের মোট ৭ জন জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দেন। নেতাদের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য নেয়ার পাশাপাশি নিজ নিজ জেলার সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রংপুর বিভাগ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাদেক কুরাইশী তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়ন করে আগামীতে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিরাজ মোল্লা সংগঠনে কোনো ভেদাভেদ না রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন তাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। নিজেদের মধ্যে থাকা সকল ভেদাভেদ দূর করে আগামী নির্বাচনে রাজশাহীর ৬টি আসনেই নৌকাকে বিজয় উপহার দেয়ার কথা জানান তিনি। খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়, ক্ষমতা থেকে চলে গেলে তা ব্যাহত হয়। আমরা যেন দল ও দলের পদকে উপার্জনের উৎস ও ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার না করি। তবেই এই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে। বরিশাল বিভাগ থেকে আসা পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরো দক্ষিণাঞ্চল অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে যখন সারাদেশে জামায়াত-বিএনপির তাণ্ডব চলছিল, তখন আমরা পটুয়াখালীকে হরতালমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশের কোনো জেলায় যখন আপনাকে নিয়ে প্রোগ্রাম করতে চায়নি, তখন আমরাই আপনাকে নিয়ে প্রথম সভা করেছিলাম। সেই কারণেই আপনি দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য দু’হাত উজার করেছেন। আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। অনুপ্রবেশকারীরা ত্যাগীদের বিচ্যুত করতে পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা দলে ঢুকে ঐতিহ্য-নৈতিকতা থেকে আমাদের বিচ্যুত করার পাঁয়তারা করছে। যারা আলবদর-রাজাকারের সন্তান, অনুপ্রবেশকারী ও দুর্নীতিপরায়নদের সহযোগিতা করছে, তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা জানি, আপনার কাছে সব ধরনের রিপোর্ট আছে। সংগঠনের জন্য আপনি যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন তাতে আওয়ামী লীগ আরো শক্তিশালী হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেভাবে যুদ্ধ করেছিলাম, প্রয়োজনে আপনার ডাকেও বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধে নামব। সম্প্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় অসঙ্গতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক পরিচিত রাজাকারের নাম তালিকায় আসেনি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এসেছে। আমরা জানি, আপনি এগুলো খেয়াল রাখছেন। আমরা চাই কোনো রাজাকার যেন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় না আসে আর কোনো মুক্তিযোদ্ধা যেন রাজাকারের তালিকায় না আসে। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে দুইজন বক্তব্য দেন। তাদের মধ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ৮টি উপজেলাকে সাংগঠনিকভাবে ঢেলে সাজানো হবে। সুবিধাবাদী, অনুপ্রবেশকারী, রাজাকার-আলবদর, হাইব্রিডদের কোনো কমিটিতে রাখা হবে না। এসময় তিনি কুমিল্লা উত্তরকে প্রসাশনিক জেলা করার দাবি জানান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App