×

জাতীয়

শীতে কাঁপছে দেশ, কুয়াশায় ঢাকা রাজধানী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:২৫ এএম

শীতে কাঁপছে দেশ, কুয়াশায় ঢাকা রাজধানী
পৌষের শুরুতেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতে কাঁপছে দেশ। ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজধানীর আকাশও। আগামী ৭২ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরো কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীত জেঁকে বসবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে অধিদপ্তর। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ রাজধানীতে বইতে শুরু করেছে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। মঙ্গলবারের (১৭ ডিসেম্বর) তুলনায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশের প্রায় সব এলাকায় তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে ভোরে কুয়াশা দেখা গেলেও গতকাল বুধবার বিকালে হঠাৎ কুয়াশায় ঢেকে গেছে ঢাকার আকাশ। সেই সঙ্গে উত্তরের হাওয়ায় বেড়েছে শীতের অনুভূতি। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, পৌষ এলো মানেই শীত এলো। যদিও শৈত্যপ্রবাহ নেই, তবু এবার শুরুতেই বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। মেঘলা আকাশে উত্তর, উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের বেগও রয়েছে হালকা। তাই শৈত্যপ্রবাহের মতোই শীত অনুভ‚ত হচ্ছে গতকাল থেকে। তিনি জানান, যেহেতু বাতাস আছে। বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ( ১৯ ডিসেম্বর) বাতাস অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, তবে দেশে এখন যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা যাচ্ছে না। কেননা, ১০-এর নিচে না নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলা যায় না। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে বলা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়। আফতাব উদ্দিন বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গতকাল বুধবার রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কাল-পরশুর মধ্যে ঢাকায় ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা আরো কমবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার ফলে শীতের বাতাস বইছে। এ ছাড়া দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এরই মধ্যে তাপমাত্রা কমে ১০-এর ঘরে চলে এসেছে। রংপুর বিভাগের রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল ১০ দশমিক ৮। গতকাল বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে এই তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে যাবে। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি রাজধানীর পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। শুরু হতে পারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল বুধবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পায়নি রাজধানীবাসী। দুপুরের দিকে সূর্যের অল্প আলো পাওয়া গেলেও আঁচ ছিল খুব সামান্যই, বরং কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের দাপট ছিল বেশি। সকালে অফিসগামীরা ঠাণ্ডায় কষ্ট পান বেশি। সন্ধ্যার পর কিছু কিছু জায়গায় ছিন্নমূল, দরিদ্র মানুষদের আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর ঢাকায় লোকজনের চলাচলও কমে যায়। এদিকে হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় শীতের কাপড়চোপড়ের কেনাকাটাও বেড়েছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, বঙ্গমার্কেট, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় শীতের কাপড় বিক্রির করার দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল যশোর ও রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনার চুয়াডাঙ্গায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছীতে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App