ইন্দ্রিয় খুঁজে পায় অপার্থিব সুখের সন্ধান। সন্ধ্যা থেকে রাত এগারোটা অবধি চলা নানা আঙ্গিকের রাগনির্ভর গানের উপস্থাপনায় মুগ্ধতার প্রতিচ্ছবি হয়ে ধরা দিল ছায়ানটের উচাঙ্গ সঙ্গীতাসরটি। সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। সুর-তাল আর লয়ের খেলায় পৌষের শীতল রাতটি যেন শ্রোতার কাছে হয়ে ওঠে মোহনীয়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নির্যাসে সুররসিকের অন্তরে ছড়ালো যেন ভালোলাগার অনুভব। ১৪১৫ বঙ্গাব্দের হেমন্তে প্রথম যে উৎসব দাগ কেটেছিল সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে, তার রেশ কাটেনি এখনো। তাই তো প্রতি বছরের মতো এবারো পৌষের সন্ধ্যায় শুরু হলো শুদ্ধ সংগীত চর্চার সে আয়োজন।
সকলের মাঝে শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চার প্রতি অনুরাগ ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছরই ছায়ানট আয়োজন করে সঙ্গীত-উৎসব। তারই আলোকে বৃহস্পতিবার শুরু হলো দুই দিনব্যাপী ‘শুদ্ধসঙ্গীত উৎসব’।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শ্রী পবিত্র মোহন দে। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ আয়োজনে স্বাগত কথন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ছায়ানটের সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল।
ইফতেখার আলম ডলার ও শুকদেব রায়ের তবলার জাদুতে সুর পায় ইতি ফরাজীর হারমোনিয়াম, মুনজেরিন আলম মোনালিসার তানপুরাও প্রথম নিবেদন ছায়ানটের বৃন্দের পরিবেশনা। দ্বিতীয় অধিবেশনে ত্রয়ী যন্ত্রবাদনে অংশ নেন তবলায় সবুজ আহমেদ, বেহালায় শান্ত আহমেদ এবং বাঁশিতে কামরুল আহমেদ। তাদের পাশাপাশি আসরে যন্ত্র ও মনোমুগ্ধকর কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন করেন ঢাকার বিভিন্ন গুণী শিল্পীরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।