গত ৩০ নভেম্বর ছিল দেশের বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। চিত্রকলায় তাঁর স্বাতন্ত্র্য লক্ষণীয় এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনে নবরূপের পথিকৃত এই শিল্পপ্রতিভার কৃতি দেশ ও কালের গ্লানি ছাপিয়ে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কাইয়ুম চৌধুরী স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে শিল্পবিষয়ক আলোচনা, গদ্য ও কবিতার নির্বাচিত পাঠ এবং প্রিয় গানের গ্রন্থনায়। স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মো. বদরুল আনম ভূঁইয়া, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও তাহেরা চৌধুরী। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী শিল্পকলা বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক অধ্যাপক আবুল মনসুর। ‘সৃজন ও রুচির যাত্রাপথ: কাইয়ুম চৌধুরীর দৃশ্যজগত’ শিরোনামে বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে আবুল মনসুর বলেন, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর তিরোধানের পাঁচ বছর পূর্তিতেও তাঁর অস্তিত্বের বিপুলতা এখনো যেন ঘিরে রয়েছে আমাদের। তাঁর চলে যাওয়ার আকস্মিকতার ঘোর এখনো আমাদের মন থেকে পুরোপুরি কেটে যায়নি। তিনি বলেন, পঞ্চাশের দশকের অনেক শিল্পীই দৃশ্যকলার জগতে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছিলেন। মোহাম্মদ কিবরিয়া, আমিনুল ইসলাম, মুর্তজা বশীর, রশিদ চৌধুরী, হামিদুর রহমান, নভেরা আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল বাসেত, দেবদাস চক্রবর্তী, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, নিতুন কুন্ডু প্রমুখ। এদের সঙ্গে উচ্চারিত হতেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীও। পঞ্চাশের অধিকাংশ শিল্পীই চিত্রাংকনে হাত পাকিয়েছেন এবং চিত্রশিল্পী হিসেবে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মৃত্তিকা সহিতার পরিকল্পইা ও গ্রন্থনায় উপস্থাপন করা হয় ‘জীবনে আমার যত আনন্দ’। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী বিষয়ে পাঠ করেন ভাস্বর বন্দ্যেপাধ্যায়, সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম, তানিয়া মান্নান, জান্নাত এ ফেরদৌসী লাকী, সত্যজিত ঘোষ, পূরবী বড়ুয়া, মৃত্তিকা সহিতা, টিংকু শীল, সমি সুহৃদ, শ্রাবন্তীধর, জাহিদ কিরণ, পর্ণা দেব রায় পিউ, দিপ্র নিশান্ত, প্রিয়াংকা সরকার ও রতন মজুমদার।