লাশকাটা ঘরে কবির লাশ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম
প্রথমত লাশকাটা ঘরের মলিন পর্দা আমি
আর পুরনো টেবিল আমার অগ্রজ;
কতকাল থেকে দেখি মৃত মানুষের কাটা-চেরা।
আমার অগ্রজ টেবিলের সমবয়সী অন্ত্যজশ্রেণির ডোম
অভিজ্ঞতা চিনিয়েছে যাকে কাটাচেরা তার নির্ভুল আশ্রম।
কত লাশ চলে যায় সৎকারে পোস্টমর্টেম শেষে
কিছু বে-ওয়ারিশ হয়ে পড়ে থাকে কিছুটা সময়
ডুমোমাছিরা তাদের ভিড় করে চিনে নিতে চায়
এবং দুর্গন্ধ গায়ে মেখে ফিরে যায় ভাগাড়ের ঠিকানায়;
ভাগাড়ই যেন মাছিদের আদিবাড়ি
আর লাশকাটা ঘর জীবিকার বিষণ তস্তুরি।
লাশকাটা ঘরে শত লাশ আসে কাটাচেরা শেষে ফিরে যায়
একদিন শ্রাবণ বর্ষায় আসে কবিতার লাশ
কবিতার লাশ! কখনো কেউ কি জানে
কবিতা তো সমুদ্র-আসমান মহাশূন্যে ধ্রুবতারা অসংখ্য তারার মধ্যিখানে,
কবি হয়ে তবু পঙ্ক্তি এসেছিল দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত বিবরণ
কাটাচেরার পরও জানা গেল না কবির মৃত্যুর কারণ
জানা হলো না কবির অন্তর্দহন মৃত্যুর গূঢ় ব্যাকরণ;
আমি উড়ে উড়ে জলে ভেজা বাতাস এনেছিলাম
অগ্রজ টেবিল দিয়েছিল শাওন রাতের সিক্ত আলিঙ্গন
অভিজ্ঞ ডাক্তার-ডোমও বোঝেনি অভিমান বিষণ কবির মৃত্যুর কারণ।