×

সারাদেশ

বিজয় ‘উল্লাসে’ সৈকতে পর্যটকদের ঢল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম

বিজয় ‘উল্লাসে’ সৈকতে পর্যটকদের ঢল
বিজয় ‘উল্লাসে’ সৈকতে পর্যটকদের ঢল
বিজয় ‘উল্লাসে’ সৈকতে পর্যটকদের ঢল

মহান বিজয় দিবসের আনন্দ আর উৎসব মুখরতা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণের কুয়াকাটা সৈকতে। ছুটি কাটাতে হাজারো পর্যটকের ভিড় জমে উঠেছে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ ছোঁয়া সৈকতে। যেন এক মিলন মেলা। বিজয় উদযাপনে কুয়াকাটা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।

সাগরের ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে নেচে গেয়ে গোসল, হৈ হুল্লোড় আর খেলাধুলা আনন্দের সীমা নেই পর্যটকদের। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য দেখা, সৈকতে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর উম্মাদনা ভ্রমণের পুলক জাগিয়ে দিচ্ছে।

কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইনদের তাতঁপল্লী, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে তীল ধারনের ঠাঁই নেই। অপরদিকে, সাগরের মাঝে জেগে ওঠা চর বিজয়, সুন্দরবনের পূর্বাংশে ফাতরার বনসহ আকর্ষণীয় সব পয়েন্টই ঘুরে দেখছেন পর্যটকরা।

রাতে সৈকতে জোসনার আলোয় সাগরের ঢেউ আর ঢেউয়ের গর্জন অন্যরকম অনুভূতি জাগিয়ে যায। তাছাড়া শীতের রাতে সৈকতের কোলঘেঁষে মুখরোচক খাবার কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এমন স্বাদ পর্যটকদের বার বার কুয়াকাটা স্মরণ করিয়ে দেয়। ভ্রমণ বিলাসীরা বার বার যাওয়ার তাড়া অনুভব করে।

কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা জানান, বিজয় দিবসের আনন্দ উপভোগ করতেই তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। নিজের দেশকে ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এই বিজয়ের মাস। এখানকার সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করেছে। পর্যটকরা বলছেন, কুয়াকাটা এমন একটি সাগর সৈকত যেখানে বার বার আসতে ইচ্ছে করে অবসর পেলেই।

পর্যটক দম্পতি আকতার হোসেন ও মিসেস আকতার বলেন, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর এখানকার মানুষজন খুবই ভালো লেগেছে। বলা যায় তারা কুয়াকাটার প্রেমে পড়ে গেছেন। তাই বার বারই তারা এখানেই আসেন ছুটি কাটাতে। এমনকি তারা এখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করার কথাও মাথায় নিয়েছেন।

আকতার হোসেন আরো বলেন, বিশ্বের অন্যতম সাগর সৈকত কুয়াকাটা। দিনে দিনে পর্যটননগরী হিসেবে পরিচিতি বাড়ছে। এখানকার অবকাঠামো উন্নয়নও হচ্ছে। কুয়াকাটার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক ও নদীপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বাড়ছে পর্যটনের সক্ষমতা। কুয়াকাটাকে ঘিরে সরকার সুদূরপ্রাসী উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে। তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও অনুন্নত থাকায় দর্শনীয় স্পটগুলো দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরা।

নভেম্বর মাস থেকেই পর্যটন মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। তবে মাস খানেক আগেও পর্যটকদের ভিড় ততটা দেখতে না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি। বিজয়ের মাসে উপচে পড়ছে পর্যটকরা। এতে ব্যবসায়ীদের হতাশা কেটে গিয়ে হাসি ফুটেছে মুখে। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের আগমনে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা কুয়াকাটা সৈকত। আবাসিক হোটেলগুলোর বেশির ভাগের বুকিং আগেই হয়ে গেছে।

বিশেষ করে আবাসিক হোটেল সিকদার সিসোর্ট এন্ড ভিলাস, কুয়াকাটা গ্রান্ড, হোটেল গ্রেভার ইন, হোটেল সী ক্রাউন ইনসহ প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আবাসিক হোটেলের বেশির ভাগই অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন পর্যটকরা।

পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী এপ্রিল পর্যন্ত একটানা ভিড় থাকবে সৈকতে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ মোতালেব শরীফ জানান, নভেম্বর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। তবে মূলত বিজয়ের মাস থেকেই আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। প্রতিটি হোটেলই কম বেশি বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের আগমন প্রতিদিনই বাড়ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App