গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা গ্রামে রওজা হাইটেকের লাক্সারি ফ্যান কারখানায় অগ্নিকান্ডে নিহত ১০জন শ্রমিকের মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নিহতদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিহতদের প্রত্যেকের লাশ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতি পূরণ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি ও কারণ এখনো জানা যায়নি। ফ্যান কারখানায় অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না। ছোট কারখানার টিনশেডের বর্ধিত অংশে জরুরী একাধিক বহির্গমন পথ না থাকায় এক সঙ্গে এতগুলো প্রাণহানির ঘটনা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও নিহতের সহকর্মীরা জানান, নিয়মকানুন না মেনে কারখানাটি চলমান থাকায় এত বেশি প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। আবাসিক এলাকায় ভবন নির্মাণ করে ফ্যান কারখানাটি পরিচালিত হতো। এতে ছাদে নির্মিত টিনশেডে প্রয়োজনীয় দরজা জানালা ছিল না। ফলে অগ্নিকান্ডে শ্রমিকরা বের হয়ে আসতে পারেনি।

এর আগে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধায় ফ্যান কারখানায় অগ্নিকান্ডে পুড়ে ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে মারা যান ১০ শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পৌণে এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের বাঘবপুর গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে তরিকুল ইসলাম, দিনাজপুরের বারপাটিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. লিমন ইসলাম, সদর উপজেলার কালনী খান বাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল খান, একই উপজেলার কেশরিতা গ্রামের বীরবল চন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস, শ্রীপুর উপজেলার মারতা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম, একই উপজেলার মারতা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাশেদ, রংপুরের কাচুবকলতলা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম, নরসিংদী জেলার চর কাশিমনগর গ্রামের সজল মিয়া ও ব্রাহ্মন বাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া।