×

পুরনো খবর

ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন বিজয়ের মাসেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:২৬ এএম

ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন বিজয়ের মাসেই
ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন বিজয়ের মাসেই

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই নাগরিকরা পাবেন ই-পাসপোর্ট। যদিও দফায় দফায় সময় নির্ধারণ করা হলেও টেকনিক্যাল কারণে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এ মাসেই অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট পাবেন দেশের নাগরিকরা। শুরুতে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট জার্মানি থেকে প্রিন্ট করিয়ে সরবরাহ করা হবে। এরপর থেকে ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ওই কারখানা থেকে ই-পাসপোর্ট ছাপানো অব্যাহত থাকবে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পৌঁছানোর ব্যাপারে এখনো আশাবাদী ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে যেদিন সময় দেবেন সেদিনই ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করা হবে। ই-পাসপোর্ট এ সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য হবে বলেও মনে করেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৭২টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও দেশের বাইরে ৭১টি মিশন রয়েছে। এখানে প্রযুক্তিগত যেসব কার্যক্রম রয়েছে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সূত্র আরো জানায়, ই-পাসপোর্ট একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যাতে পাসপোর্টধারীর পরিচয়ের সত্যতা থাকে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে জালিয়াতি ও পরিচয় গোপন

করা কঠিন হবে বলে দাবি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের। ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ডাটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ১০ বছর। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। বর্তমানের পাসপোর্টে সরকারের যে টাকা ব্যয় হয়, সেই অনুপাতে ই-পাসপোর্ট চালু হলে পাসপোর্টপ্রতি প্রায় ৩ ডলার করে সাশ্রয় হবে। যেহেতু এই পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর তাই অনেকেই শঙ্কায় আছেন, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরপি বাতিল হবে কিনা। এ বিষয়ে অধিদপ্তর জানায়, কারো পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। তবে যাদের এমআরপি রয়েছে সেটিও গ্রহণযোগ্য হবে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করতে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সেদিন ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে চালু হবে ই-পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল (ই-গেট) ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App