জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে সিদ্ধান্তহীনতা
nakib
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:০২ পিএম
মাদ্রিতে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল তবে শেষ দিনেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সময় বাড়ানো হয়েছে। ২৫তম কপ সম্মেলন চলবে শনিবারও। বিশ্বের ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিকে সামনে নিয়ে একত্রিত হয়।
কম মাত্রায় কার্বন নৃঃসরণ নির্ধারণ করায় যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, এবং ব্রাজিলের সমালোচনা হয় সম্মেলনে। এ মাসে জাতিসংঘ জানায় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ন্ত্রিত রাখতে হলে বৈশ্বিকভাবে কার্বন নৃঃসরণ ৭% রাখতে হবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে পদক্ষেপ নিয়ে কিভাবে অর্থায়ন হবে তা নিয়ে প্রতিনিধিরা একমত হতে পারেনি। ধনী দূষণকারী দেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলো কিভাবে আন্তর্জাতিকভাবে এ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে সেটা নিয়েও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী গ্রেটা এ সম্মেলনে খুব অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
ধনী দূষণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন এবং সৌদি আরব ২০১৫ সালে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি কার্বন নৃঃসরণ করার কথা পুনরাবৃত্তি করে তবে ৮০ টির অধিক দেশ তাদের মাত্রা বৃদ্ধি করার জোড় দাবি জানায়। যুক্তরাষ্ট্র পরিবেশ দূষনের কারণে উন্নত দেশগুলোর ওপর কোন দায় আসে এমন কোন সিদ্ধান্ত যাতে না আসে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করে বলবে পরিবেশ কারো জন্য অপেক্ষা করছেনা বরং তা দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তবে শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষের এ দরকষাকষির মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কতটুকু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটাই দেখার অপেক্ষা করছে সারা বিশ্ব। উল্লেখ্য, এ বছর জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্বব্যাপি স্কুল ছাত্ররাও রাস্তায় এসে পরিবেশ আন্দোলনকে জোড়দার করে। গ্রেটা থুনবার্গের সে আন্দোলন ছড়িয়ে পরেছিল দেশে দেশে। তবে বাস্তবে কাজের কাজ কতটুকু হবে সেটা জানা যাবে এ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত থেকে।