×

পুরনো খবর

নাগরিকত্ব বিল সাম্প্রদায়িকতা উস্কাবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৩২ এএম

নাগরিকত্ব বিল সাম্প্রদায়িকতা উস্কাবে

সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাসকৃত ‘নাগরিকত্ব বিল’ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্যও হুমকি হতে পারে। এই বিল আইনে পরিণত হলে বদলে যাবে আমাদের দেশের বৈচিত্র্য। বাড়বে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও দেশত্যাগের মাত্রা। যা শঙ্কা ও উদ্বেগের বলে মনে করছেন এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা।

তারা বলছেন, এটি শুধু ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিকই নয়, সেই সঙ্গে এটি ভারতীয় উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িকতাকেও উস্কে দেবে। এদিকে আজ শুক্রবার ভারতে পাসকৃত এই বিল নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সংগঠনটি।

প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় পাসকৃত এই বিলটি ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী। এতে বলা আছে, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান শিখসহ আরো কিছু অমুসলিম ধর্মাবলম্বী, যারা নিজের দেশে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তারা যদি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকে, তবে তারা এই আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযুক্ত। এসব সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে ছয় বছর বসবাসের পর সেখানকার নাগরিকত্ব পাবেন, যা আগে ছিল এগারো বছর। তাদের কোনো কাগজপত্র না থাকলেও চলবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ভোরের কাগজকে বলেন, এই বিল আইন হলে ভারতীয় উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িকতা বাড়বে। এতে আমরা সংকটে পড়ব। এই বিলের কারণে অধিকতর নিরাপত্তার আকাক্সক্ষায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা দেশ ত্যাগে উৎসাহিত হবে। যে চক্রটি বাংলাদেশকে সংখ্যালঘু শূন্য করতে চায় তারাও উৎসাহিত হবে। বড় কথা হলো, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকদের বিভাজনের প্রক্রিয়া সর্বনাশা। ধর্মের ভিত্তিতে অখণ্ড ভারত বিভাজিত হলো। যার ফল সংখ্যালঘু হিসেবে আমরা এখনো ভোগ করছি।

বাংলাদেশের পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ মনে করেন, নির্যাতন নিপীড়নের পরও বাংলাদেশে যেসব সংখ্যালঘু মাতৃভ‚মির মাটি আঁকড়ে পড়ে আছে এই বিল আইনে পরিণত হলে তাদের সেই আগ্রহে ভাটা পড়বে। বদলে যাবে বাংলাদেশের বৈচিত্র্য, যা হবে বুমেরাং।

বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও মনে করেন এই বিল সংখ্যালঘুদের জন্য সহায়ক তো নয়ই বরং বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App