কেরানীগঞ্জের ভয়াবহতায় হতবাক চিকিৎসকরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৩ পিএম
কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় শুধু ভুক্তভোগীরাই নয় হতবাক করে দিয়েছে চিকিৎসকদেরও। এর আগে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্নভাবে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাকে ছাড়িয়ে গেছে এ অগ্নিকাণ্ড। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন নিজেই বলেছেন, গত ৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় এত ভয়াবহ অগ্নিদগ্ধ আমি কখনো দেখিনি। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এখানে একজন রোগী মারা গেছেন, যাকে তার স্ত্রীও চিনতে পারেননি। পরে তার হাতের কাটা দেখে তাকে শনাক্ত করতে পেরেছেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সামন্ত লাল সেন বলেন, আব্দুর রাজ্জাক নামের একজনের শতভাগ পোড়া। সে অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোনো সময় তার অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে। বিশ্বের কোথাও শতভাগ বার্ন বাঁচানো সাধারণত সম্ভব হয়না। আমরা চেষ্টা করছি বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। যারা রয়েছে তাদেরও শরীরের ৬০ থেকে ৮০ ভাগ পোড়া রয়েছে। প্রত্যেকেরই শ্বাসনালী এবং মুখমণ্ডল পড়ে গেছে। যে সেটা রিকভার করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।
প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আমারা রোগীর স্বজনদের সবসময় সবকিছু জানাচ্ছি, চিকিৎসাও সঠিকভাবে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে চিকিৎসা যেন সঠিকভাবে হয় । ব্যয়ভার যেন সরকার বহন করে, সেভাবেই সব চলছে। আর আমরা এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ পোড়া রোগী বাঁচাতে পেরেছি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। প্রত্যেকেই লাইফসাপোর্টে আছেন। সবার শ্বাসনালী পোড়া। বুধবারের (১১ ডিসেম্বর) এ অগ্নিকাণ্ডে এখন শুক্রবার পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।