‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণও করেন নি সুকি
nakib
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:২৭ পিএম
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিচালিত গণহত্যার মামলায় দেশটির পক্ষে সাফাই গাইতে ৩০ মিনিটেরও বেশী সময় হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে বক্তব্য দেন সুকি। এক সময়ের মানবাধিকারের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এ নেত্রী জঘন্য এ গণহত্যাকে অভ্যন্তরীন বিষয় ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান বলে ঠুনকো যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।
ইতোমধ্যে তার এ বক্তব্য নিয়ে বিশ্বব্যাপি সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে ৩,৩৭৯ শব্দ ব্যবহার করলেও একটি বারের জন্যও ”রোহিঙ্গা” শব্দটি ব্যবহার করেননি। সংখ্যলঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকেরা বছরের পর বছর ধরে নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত আছে। শুধুমাত্র আরসা বিদ্রোহীদের কথা বলার সময় তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেন।
সমালোচকরা বলছেন সুকির রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করা মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের পরিচয় ও অধিকার অস্বীকার করার প্রচেষ্টা। রোহিঙ্গরা মিয়ানমারের অধিবাসী নয় সেটা বুঝাতেই তিনি তাদের পরিচয় উল্লেখ করেননি। মিয়ানমারে ১৩৫ টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নামের নালিকার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম উল্লেখ নেই। আর ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের নাগরিক হওয়ার সুযোগও কেড়ে নেয়া হয়েছে ফলে তারা রাষ্ট্রহীত জাতিতে পরিণত হয়েছে।
নোবেলজয়ী হিসেবে এটি জঘন্য গণহত্যার পক্ষে আদালতে দাড়িয়ে মিথ্যঅচার করায় ইতিহাসের পাতায় সুকির নাম লিখা থাকবে বলে ঘৃণা প্রকাশ করেন মানবাধিকার কর্মীরা।