×

সারাদেশ

প্রতি হাটে চা খরচ এক লাখ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:২২ পিএম

প্রতি হাটে চা খরচ এক লাখ!

রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বডার্র হাটে পণ্য সামগ্রী কেনাবেচা করতে আসা লোকজনের কাছ থেকে চা খরচের কথা বলে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেন এক কাস্টমস কর্মকর্তা। হাটে পণ্য প্রবেশের সময় বিক্রেতাদের যেমন চা খরচের টাকা গুণতে হয় তেমনি পণ্য বের করার সময়ও দিতে হয় খরচ।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি হাটে আখতার হোসেন নামের ওই কাস্টমস কর্মকর্তার পকেটে চা খরচ বাবদ ওঠে এক লাখ টাকা। চা খরচের সেই টাকা না দিলে পণ্য সামগ্রী হাটে ঢুকতে বা বের হতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বালিয়ামারী হাটে গিয়ে কথা হয় হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদলের সঙ্গে। তিনি জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে, কাস্টমস কর্মকর্তা পণ্য সামগ্রী প্রবেশের সময় বস্তা প্রতি দুই হাজার এবং হাট থেকে পণ্য সামগ্রী বের করার সময়ও বস্তা প্রতি একই হারে চা খরচের নামে অর্থ আদায় করা হয়। ওই অর্থের বিনিময়ে তিনি নিধার্রিত পণ্যের বেশি প্রবেশের সুযোগও করে দেন। একই ভাবে সুবিধা দিয়ে একজন ক্রেতা নিধার্রিত টাকার চেয়ে বেশি টাকার পণ্য নিয়ে আসছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘কাস্টমস কর্মকতার্র অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। প্রতি হাটেই তাকে অবৈধ সুবিধা দিতে হচ্ছে। না দিলে নানা অজুহাত দাঁড় করান। কোনো উপায় না পেয়ে আমরাও অবৈধ সুবিধা দিয়ে আসছি। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো অভিযোগও করতে পারছি না আমরা।’

একই ধরণের অভিযোগ করেন হাটে আসা ২৫ জন বিক্রেতার সবাই। অভিযোগে আরো জানা গেছে, প্রতিহাটে ৩শ ক্রেতা পণ্য সামগ্রী কিনতে পারেন। এসব ক্রেতার হাতে পণ্য কেনার স্লিপ বা অনুমতি দিয়ে থাকেন কাস্টমস কর্ম। এ সুযোগে তিনি সাড়ে ৩শ ক্রেতা দেখিয়ে সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন।

আসাদুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে হাটে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় শুকনো সুপারি। আর ভারত থেকে আসছে মজা সুপারি। একজন বিক্রেতা হাটে সবোর্চ্চ ১০ বস্তা শুকনো সুপারি তুলতে পারবেন। আর একজন ক্রেতা হাট থেকে সবোর্চ্চ ৫ বস্তা ভারতীয় মজা সুপারি কিনে আনতে পারবেন। হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির ঐ নিয়মের মধ্যে থাকলেও কাস্টমস কর্মকর্তাকে চা খরচের জন্য টাকা দিতে হচ্ছে। এর বাইরে কাস্টমস কর্মকতা অনিয়ম করে নিধার্রতি পণ্য সামগ্রী হাটে প্রবেশ ও বের করে এনেও অবৈধ অর্থ কামাচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পক্ষে দায়িত্বরত কর্মকতা রাজীবপুর নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, ‘কাস্টমস কর্মকতার্র বিরুদ্ধে ঐসব অভিযোগ মাঝে মাঝে আমিও পাই কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ না থাকার কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাস্টমস কর্মকতা আখতার হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে চা খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা আমি নিই- এটা মিথ্যা। আমি কোনো অনিয়ম করি না, দুনীতিও করি না। কেউ যদি আপনাকে বলে থাকে তাহলে শত্রুতামূলকভাবে বলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App