×

সাহিত্য

নন্দন মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের গানে বিজয় উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:২৯ পিএম

নন্দন মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের গানে বিজয় উৎসব

আলোর ঝলকানিতে মুখর নন্দন মঞ্চ। যেখানে রবীন্দ্রনাথের একঝাঁক গানের পাখি। লাল-সবুজের শাড়িতে নিজেদের আবৃত করে যেন বিজয়কে প্রতীকিভাবে তুলে ধরেছেন তারা। পতাকার রঙের সাথে রবীন্দ্রনাথের সুর মিশিয়ে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের ভাসমান নন্দন মঞ্চকে আরো বেশি নান্দনিক করে তুলেছেন কবিগুরুর গানের শিল্পীরা। বাংলাদেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, এই দেশেতে জন্ম আমার এই দেশেতে মরি, আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ ও আমার দেশের মাটি’সহ অসংখ্য চেতনা জাগানিয়া গান। আর সে কারণেই বিজয় দিবস উদযাপনে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে দুইদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার একাংশ।

বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে শুরু হয় ‘স্বার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ শীর্ষক এই রবীন্দ্রসঙ্গীতানুষ্ঠান। সংস্থার শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে জাতীয়সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়েই আয়োজনের সূচণা হয়। এরপর শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে আরো পরিবেশন করেন ‘ ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’ ও ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’সহ দুটি গান। শৈল্পিক পরিবেশনায় মঞ্চ থেকে শিল্পীরা শিল্পকলা একাডেমির সমগ্র প্রাঙ্গণে কবিগুরুর দেশপ্রেমের চিত্র তুলে ধরেন। আর সেই অনন্যতায় হেমন্তের হালকা শীতের সাঁঝবেলাতেও উজ্জীবিত হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থলে আগত সঙ্গীতানুরাগীরা।

সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশনা শেষে একক কণ্ঠের জাদুতে কবিগুরুকে মূর্ত করে তোলেন শিল্পীরা। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় সাঈদা হোসেন পরিবেশন করেন ‘এই কথাটা ধরে রাখিস, কেয়া হায়দার গেয়ে শোনান ‘আমি কান পেতে রই, সুফিয়া যাকারিয়ার কণ্ঠে গীত হয় ‘আমি মারের সাগর,সঞ্চিতা মিত্র গেয়ে শোনান ‘এই করেছো ভালো, মাহবুবা কামাল পরিবেশন করেন ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি, খন্দকার আবুল কালাম গেয়ে শোনান ‘ফিরে চল মাটির টানে, সাজেদ আকবরের কণ্ঠে গীত হয় ‘আমার সোনার হরিন চাই, মকবুল হোসেন পরিবেশন করেন ‘জয় হোক জয় হোক, গোলাম হায়দার গেয়ে শোনান ‘পিনাকেতে লাগে টংকা, স্বর্ণময়ী মন্ডল পরিবেশন করেন ‘এবার তোর মরা গাঙে, মীরা মন্ডল পরিবেশন করেন ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে, মাহফুজা হক গেয়ে শোনান ‘চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে’ ইত্যাদি।

এর আগে উদ্বোধনী আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার একাংশের সভাপতি সাজেদ আকবরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব, প্রেরণার উৎস। জাতির মননের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধে তার গান বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা যুগিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য। তাই তাকে অবলম্বণ করে বিজয় উৎসবের আয়োজন খুব গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আজ শুক্রবার শেষ হবে কবিগুরুর গান দিয়ে সাজানো দুইদিনের এই বিজয় উৎসব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App