×

সারাদেশ

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়াকে কলেজ শিক্ষকের কুপ্রস্তাব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২১ পিএম

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়াকে কলেজ শিক্ষকের কুপ্রস্তাব

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক আয়াকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কলেজ শিক্ষক আসাদুজ্জামান আলীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগি ওই আয়া প্রতিকার চেয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নাটোর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে- গুরুদাসপুরের নাজিরপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ওই আয়ার বাড়ী গোপিনাথপুর গ্রামে। একই গ্রামে বাড়ী শিক্ষক আসাদের। তিনি নাজিরপুর ডিগ্রী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে- নাজিরপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা পদে চাকরি করছেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী সেলিনা পারভীন। প্রায়ই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজের পাশাপাশি কৌশলে ওই আয়াকে বাড়ির কাজে পাঠাতেন। সেই সুযোগে শিক্ষক আসাদুজ্জামান বিভিন্ন সময় তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। স্বামীর কুকর্মের বিষয়ে সেলিনা পারভীনের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি স্বামীর দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হতে বলেন। আয়া ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অফিসের অনীয়মের অভিযোগ তুলে প্রায়ই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করা হতো। সবশেষ ওই আয়াকে অফিসে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

ভুক্তভোগি আয়া অভিযোগ করেন- শিক্ষক আসাদুজ্জামান তাকে যৌনহয়রানী করতেন। স্বামীর এমন অসৎকাজে সহযোগীতা করতেন তারই উবর্ধতন সেলিনা পারভীন। এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অপারেশন থিয়েটার এবং প্রধান ফটকের চাবি হস্তগত করে রাখেন সেলিনা। অফিসেও আসেন দেরি করে। একারণে তিনি সকাল সকাল অফিসে আসলেও বাহিরে অপেক্ষা করতে হয়।

তিনি আরো জানান- বছরখানেক আগে বিভিন্ন কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ায় সেলিনা পারভীনকে অন্যত্র বদলি করা হয়। চেষ্টা তদবির করে আবারো তিনি নাজিরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগদান করেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় সেলিনা স্বামীর চাহিদা পূরণে ব্যার্থ হন। একারণে তাকে শিক্ষক আসাদুজ্জামানের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে উৎসাহ দেন। কিন্তু এসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সম্প্রতি সেলিনা তার স্বামী আসাদুজ্জামানের কলেজের আয়া মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী মাজেদাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে আটকে রেখে শারীকি নির্যাতন করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আসাদুজ্জামান ও তার স্ত্রী নাজিরপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিশর্দীকা সেলিনা পারভীন এসব অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন- সামাজাকিভাবে তাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন এবং মান ক্ষুন্ন করতেই আয়া রেহেনা তাদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রবিউল করিম শান্ত বলেন- এবিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাটোরের সিভিল সার্জন আজিজুল ইসলাম বলেন-তিনি ঢাকায় আছেন। ফিরে এসে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App