গণহত্যাকে সহিংসতা বলে সাফাই সু কির
nakib
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:১৮ পিএম
হেগে রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলমান বিচারের দ্বিতীয় দিন দেশটির পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেণ অং সান সু কি। শুনানিতে তিনি গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই তুলে ধরেন। তবে শুনানিতে তিনি একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি।
সু কি বলেন, গাম্বিয়া রাখাইন রাজ্যের অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। সেখানে গণহত্যার মতো কিছু হয়নি বলেও দাবী করেন তিনি। তবে সেখানে যে সহিসংসতা হয়েছে সে জন্য অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এবং তাদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। “যদিও শুধু সেনা কর্মকর্তা বিচার হচ্ছে তবে আমি নিশ্চিত করে বলেতে পারি সেখানে দায়ী আমরা বেসামরিক লোকদের আমরা বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো।”
সেখানে সহিংসতার যখন তদন্ত ও বিচার হচ্ছে তখন কিভাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা যায় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি। সেখানে অভিযানের সময় কোন ধরণের অন্যায় হয়ে থাকলে সেটা মানবাধিকারের লংঘন হতে পারে তবে কিছুতেই তা গণহত্যা নয়। সেখানে এ সহিংসতা আরসা স্বাধীনতাকামীদের দ্বারা শুরু হয়েছে বলে দাবি করে সুকি বলেন, অন্যায় হয়ে থাকলে দায়ি সৈন্যদের মিয়ানমারের আইন ও সংবিধান অনুযায়ি বিচার হবে।
সু কি বলেন রাখাইনের অবস্থা খুব ‘জটিল’ এবং তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোগান্তি সম্পর্কে জানেন বলে জানান যাদের অনেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল জীবন বাঁচাতে। তবে সে বারবার সে জঘণ্য গণহত্যাকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করছিল। স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠির বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল বলে দাবি করে সুকি।
রাখাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয় হবে বলে সুকি আদালতকে এমন কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায় যাতে সহিংসতা আরো বৃদ্ধি পায়। অন্য একজন আইনজীবি বলেন, আইন অনুযায়ী গাম্বিয়া মামলা করতে পারে না। কারণ তারা কোনভাবেই এ ঘটনার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না তাই এ মামলার যৌক্তিকতা নেই।
জাতিসংঘের তদন্ত দল সেখানে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পেলেও সেসব প্রমাণ এখনো কোন কোর্ট ব্যবহার করেনি।