বিএনপি আমলে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩০ পিএম
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত বিএনপির শোভাযাত্রা পুলিশ করতে না দেয়ায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল।
এদিকে সকাল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কার্যালয় থেকে বের হতে বারবার নিষেধ করা হয়েছে।
ভারতের নাগরিকত্ব আইন এনআরসির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের সংসদে খুব পরিস্কার করে বলা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। এটা নাকি বিএনপির আমলে হয়েছে। নতুন নাগরিকত্ব বিলে বলা হয়েছে- অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু মুসলিমদের দেওয়া হবে না। আমরা কোন সংঘাতে যেতে চাই না।’
তিনি বলেন, দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে সারা বিশ্বে স্বীকৃত মানবাধিকার। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটা র্যালী হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- নেতা-কর্মীরা কার্যালয় থেকে নিচে নামলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের অধিকারগুলোর কথা বলছি। সভা-সমাবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এমনকি সাংগঠনিক কার্যক্রম করতেও অনুমতি নিতে হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে ১৫ শত ৯৯ জনকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে। তারা এর নাম দিয়েছে বন্দুকযুদ্ধ। বিএনপির হিসেবে এটি ২ হাজারেরও বেশি। ১ লাখের ওপর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামালা দেওয়া হয়েছে। আজকে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। ভিন্ন মত পোষণ করলেই গ্রেফতার ও গুম করা হয়। অনেক নেতা, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক গুম হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলের চাইতেও গত ১০ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ৪ বছর আগে মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ যে অঙ্গীকার করেছিল, তা রক্ষা করেনি। এজন্য গতবার সরকারের প্রতিনিধিদের তিরস্কার করা হয়েছিল। গার্মেন্ট শ্রমিক, বিদেশে নারী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, কিন্তু সরকার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আজকে সরকারি অফিস আদালত খোলা। ঢাকা শহরে অনেক যানজট। এরমধ্যে র্যালী করলে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে। যেহেতু বিএনপির র্যালী করার অনুমতি নেই তাই করতে দেওয়া হবে না। তারপরও যদি করতে চায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ।