×

জাতীয়

নদীতীরে গড়ে ওঠা মসজিদ-মন্দির ভাঙা হবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম

নদীতীরে গড়ে ওঠা মসজিদ-মন্দির ভাঙা হবে না

ঢাকার ৫ নদীর তীরে গড়ে ওঠা মসজিদসহ কোনো ধর্মীয় স্থাপনাই ভাঙা হবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা সেগুলোকে আরো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে চাই। যেন তা দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়। নদী রক্ষার স্বার্থে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে তা আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই করা হবে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্মা, ধলেশ্বরী ও বালু নদীর তীরে অননুমোদিতভাবে গড়ে ওঠা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর বিষয়ক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। মসজিদ, মন্দির, শশ্মান, স্কুলসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এসব নদীর তীরে।

সভায় মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি প্রধান, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এছাড়া নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ আবদুর রাজ্জাক বক্তব্য দেন। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, আতাউল্লাহ হাফেজী হুজুর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টিকে একটি প্রকল্প আকারে বাস্তবায়নের চিন্তাভাবনা করছি। এতে হয়তো দুই-আড়াইশ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু নদীর তীরের ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলো সম্ভব হবে। এ নিয়ে ধর্ম, স্বরাষ্ট্র ও নৌ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার কথা বলেন তিনি।

সভায় জানানো হয়, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ নদীবন্দর এলাকায় অননুমোতিভাবে ১১৩টি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে ৭৭টি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার, ৫টি কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা, একটি ঈদগাহ, ১৪টি স্কুল ও কলেজ, ১৩টি স্নানঘাট, মন্দির ও শ্মশানঘাট ও তিনটি অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App