×

আন্তর্জাতিক

গণহত্যা-গণধর্ষণের তথ্য তুলে ধরলো গাম্বিয়া

Icon

nakib

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:৫৭ পিএম

গণহত্যা-গণধর্ষণের তথ্য তুলে ধরলো গাম্বিয়া
গণহত্যা-গণধর্ষণের তথ্য তুলে ধরলো গাম্বিয়া
গণহত্যা-গণধর্ষণের তথ্য তুলে ধরলো গাম্বিয়া

হেগের আইসিজে

গণহত্যা-গণধর্ষণের তথ্য তুলে ধরলো গাম্বিয়া
গণহত্যা-গণধর্ষণের তথ্য তুলে ধরলো গাম্বিয়া
গণহত্যা-গণধর্ষণের তথ্য তুলে ধরলো গাম্বিয়া
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ামারের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে। শুনানির প্রথম দিন গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরে। সেসময় রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া, ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুদের হত্যা করার তথ্য তুলে ধরে গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুরুতেই গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবু বকর তাম্বাদু কোর্টকে আহ্বান জানিয়েছে কোর্ট যেন মিনয়ানমারের গণহত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। প্রথমেই তিনি বলেন,আমি এখানে এসেছি বিশ্ববিবেককে জাগাতে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের  কন্ঠকে উচু করতে। আরেকটি গণহত্যা আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে কিন্তু তা বন্ধ করতে আমরা কিছুই করছি না। এটা আমাদের সকলের বিবেকের জন্য একটা কলংকজনক বিষয়। এটা শুধু মিয়ানমারের বিচারের বিষয় না বরং আমাদের সকলের বিবেকবোধ ও মানবতাবোধও আজ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। [caption id="attachment_185135" align="aligncenter" width="700"] গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবু বকর তাম্বাদু[/caption] নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়ার সময় কোর্টে বসে থাকা মিয়ামনমার প্রতিনিধিদলের প্রধান এক সময়ের শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচিকে অনেকটা মলিন দেখাচ্ছিল। ”এমন ধরনের বর্বর এবং নৃশংস কর্মকাণ্ড যা বিবেকে আক্রান্ত করছে তা বন্ধ করতে । নিজের জনগণের উপর পরিচারিত এ গণহত্যা বন্ধে” পদক্ষেপ নিতে কোর্টের প্রতি জোর দাবি জানায় গাম্বিয়ার প্রতিনিধিদল। জাতিসংঘ তদন্ত দলের রিপোর্টকে উদৃদ্ধ করে একজন আইনজীবি গণহত্যার প্রতক্ষ্যদর্শী একজনের বক্তব্য উপস্থাপন করে। সে তদন্ত দলের তদন্তকারী রাখাইনের মিনগেই গ্রামে ৭৫০ জন নিহতের লাশ দেখেছিল যাদের মাঝে ১০০ জনেরও বেশি শিশু ছিল এবং যাদের বয়স ছিল ৬ বছরের কম। আরেকজন আইনজীবি জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখিত বেচেঁ যাওয়া একজন রোহিঙ্গার জবানবন্দী উপস্থাপন করে। সেখানে একজন রোহিঙ্গা নারীকে মিয়ানমারের সৈনিকের ধর্ষনের বর্ণনা দেয়া হয় এবং তার কোলে থাকা মাত্র ২৮ দিনের এক বাচ্চাকেও তারা হত্যা করেছিল মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে। সে নারীকেও সৈন্যরা হত্যা করার জন্য তার গলায় ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেছিল। আরেকজন আইনজীবি বলেন ক্ষমা চেয়ে কোন সমাধান হয় না আর ক্ষমা দেড়িতে চাওয়া হয় কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে অনেকের জীবনহানি ঘটে যায়। তাই তিনি এখনো চলমান এ গণহত্যা বন্ধে কোর্টের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।  প্রথমদিন তিনঘন্টা ধরে চলে এ শুনানি। আগামিকাল মিয়ানমার প্রতিনিধি দল তাদের বক্তব্য তুলে ধরবে। জঘন্য সে গণহত্যা থেকে জীবন বাচাতে ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগণ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। যে ঘটনাকে জাতিসংঘ গণহত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছিল। এ মামলায় অংশ নিতে হেগে আসার পর কোর্টে প্রবেশ করার আগে সাংবাদিরা সুচিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে আকড়ে ধরে তবে বিশ্বব্যাপি নিন্দিত হওয়া সুচি কোন প্রশ্নেই উত্তর দিতে পারেননি। আর উত্তর দেয়ার মতো সেই মুখও হয়তো সুচির নেই। আদালতের বাইরেও রোহিঙ্গা জনগন ও বিভিন্ন দেশের শান্তিকামী মানুষেরা ন্যায়বিচারের দাবিতে র‌্যালি করে। অন্যদিকে মিয়ানমারেও সুচির সমর্থনে র‌্যালি করেছে বৌদ্ধ ও তার দলের অনুসারিরা। কয়েকদিন আগেই জান্তা সরকার সুচির সমর্থনে বিশাল বিলবোর্ড টানায় রাস্তার পাশে। যেখানে সুচির পাশে  হাসিমুখে সেনাসদস্যদের দেখা যায় । এ বিলবোর্ড নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। সেনা সরকারের স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপি আবারও সুচির বিরুদ্ধে সমালোচলার ঝড় উঠে। তবে উগ্র বৌদ্ধদের সমর্থন পতেই সুচি শুনানিতে গেছেন বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।   কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও গাম্বিয়া গাম্বিয়া বলে স্লোগান দিয়েছে রোহিঙ্গা লোকজন। অনেকে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছে এবং রোযা পালন করেছে ন্যায় বিচার পাবার জন্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App